সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের সাত বছরের ছেলেকে খুন (Murder) করল বাবা। তারপর ছেলের মৃতদেহের পাশেই ঘুমলো সারা রাত! ভোরে উঠে স্ত্রীকে জানিয়ে দিল, আর চিন্তা নেই। কেউ তাদের ছেলের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। এমনই ভয়ঙ্কর এক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুর। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে।
কিন্তু নিজের হাতে আপন সন্তানকে কেন এভাবে খুন করল এক বাবা? আত্মীয়স্বজনরা জানাচ্ছেন, লকডাউনের সময়ে চাকরি হারিয়ে ঘোর আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়ে পড়ে অবসাদে ভুগছিল বছর তেতাল্লিশের অলংকার শ্রীবাস্তব। নিজের তিন ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইদানীং সে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ভুগছিল। অবসাদের কারণেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এমন বীভৎস কাণ্ড করেছে বলে দাবি তাদের।
[আরও পড়ুন: প্রাধান্য সেই সোনিয়া ঘনিষ্ঠদেরই! প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন কোষাধ্যক্ষ করল কংগ্রেস]
অভিযুক্তের স্ত্রী সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সারিকা জানিয়েছেন, ভোর পাঁচটার সময় স্বামী অলংকার তার ঘুম ভাঙায় বেডরুমে এসে। জানায়, রাতেই নিজের ছেলেকে খুন করে সেই মৃতদেহের সঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিল সে! স্ত্রীকে আশ্বাসের সুরে সে বলে, ‘‘আর কোনও চিন্তা নেই। আমাদের ছেলে শান্তিতে ঘুমোচ্ছে। আর কেউ ওর ক্ষতি পারবে না।’’ এরপরই স্তম্ভিত সারিকা পুলিশে খবর দেন। গ্রেপ্তার করা হয় অলংকারকে। ধৃত অলংকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত তার অপরাধের কথা কবুল করেছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী তদন্তের কাজ জারি রেখেছে।
অতিমারী ও লকডাউনের ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই দেশ জুড়ে বেড়েছে বেকারত্ব। তার জেরেই এই ধরনের বহু অনভিপ্রেত মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হতে হচ্ছে দেশকে।