সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার রাতে মোহালিতে পাঞ্জাব (Punjab) পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বিল্ডিংয়ে একটি রকেট প্রপেলড গ্রেনেড আছড়ে পড়ে। এই হামলায় রহস্য দানা বাঁধে। বিস্ফোরণের স্থানের ১ কিলোমিটারের মধ্যেই রাশিয়ার তৈরি একটি রকেট লঞ্চার উদ্ধার হয়। সন্দেহ করা হচ্ছিল ওই অস্ত্র পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ড্রোন মারফৎ পাঠানো হয়েছিল কিনা। এর মধ্যেই জানা গেল, ভারতের মাটিকে রক্তাক্ত করতে ড্রোন সেন্টার (Drone Centre) তৈরি করে ফেলেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। যার মাধ্যমে ভারতে অস্ত্র ও মাদক পাচার করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনাও।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ছ’টি ড্রোন কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছে পাকিস্তান। পাঞ্জাব সীমান্তের চোরা পাচারকারী ও জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইএসআই এই ড্রোন সেন্টারগুলি তৈরি করছে। বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফিরোজপুর (Ferozepur) ও অমৃতসর (Amritsar) সীমান্তে বেশ কিছু ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে। একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) সীমান্তেও। বিএসএফ ও সেনার হাতে ধরা পড়েছে ড্রোনগুলি।
[আরও পড়ুন: নজরে কংগ্রেসি ভোট, অসমে পা দিয়ে বিজেপিকে উপড়ে ফেলার ডাক অভিষেকের]
সেনা সূত্রে বলা হচ্ছে, ভারতীয় সেনাকে ফাঁকি দিতে এমনকী ‘ডামি ড্রোন’ ব্যবহার করছে পাকিস্তান। যার মাধ্যমে মাদক ও বিস্ফোরক ভারতে পাঠানো হচ্ছে। পাঞ্জাবের খেমকরণ সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সদের সহযোগিতায় এই ধরনের কার্যকলাপ শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী অপারেশনের জন্য জিপিএস-নিয়ন্ত্রিত ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া কৌশলে জঙ্গিদের এই কার্যকলাপের উপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনাও। বিএসএফ ইতিমধ্যে ড্রোন বিরোধী ব্যবস্থা বসিয়েছে সীমান্তে। এছাড়াও ড্রোন শিকারী দল গঠন করা হয়েছে। সেনার হিসেব বলছে, চলতি বছরে ভারত-পাক সীমান্তে মোট ৫৩টি ড্রোন নজরে এসেছে। এর মধ্যে নয়টি ড্রোনকে মাটিতে নামানো হলে দেখা যায় সেগুলিতে মাদক ও বিস্ফোরক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরা-মেঘালয়ে ক্ষমতা দখল, অসমে লোকসভায় ১০ আসন! উত্তর-পূর্বে বড় টার্গেট অভিষেকের]
এদিকে পাঞ্জাবের হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে দু’জনকে আটক করেছিল পুলিশ। এবার আটক তৃতীয় ব্যক্তি। তার নাম নিশান সিং। মোহালি পুলিশ জানাচ্ছে, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যে লঞ্চার থেকে হামলা চালানো হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার হয়েছে।