সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “নতুন সংসদ ভবন আত্মনির্ভর ভারতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী।” আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নতুন সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে নিজের ভাষণে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর গোটা বক্তব্য করমর্দনে সমর্থন করেন উপস্থিত বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধিরা। যদিও ভারতীয় গণতন্ত্রের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ২১টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। ঐতিহাসিক ভবনের উদ্বোধক হিসেবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) চেয়েছিলেন তাঁরা। এদিন রাষ্ট্রপতি সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর বার্তা পাঠ করে শোনান রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং।
সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বার্তা দেন, “নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের মহান দিনটি ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এমন দিনে বার্তা দিতে পেরে আমি অত্যন্ত প্রসন্ন বোধ করছি। আমাদের বিশাল বহুত্ববাদী দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ তটরেখার বাসিন্দা সমস্ত ভারতবাসীর কাছে আজকের দিনটি গৌরবের এবং আনন্দের।” নিজের বার্তায় তিনি আরও বলেন, “সংসদ আমাদের সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের প্রকাশস্তম্ভ। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাভাব আমাদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরম্পরার মূল সত্য।… ভারতীয় গণতন্ত্রই সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে শক্তিশালী করেছে। এটা গণতন্ত্রের সুফল যে সামাজিক যুদ্ধে জয় করে দেশের গরিব মানুষও শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। নতুন সংসদ ভবন আমাদের গণতন্ত্রের এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে। স্বাধীনতার অমৃতউৎসবে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতীক।”
রবিবার রাষ্ট্রপতির মতোই নিজের ভাষণে গণতন্ত্রের জয়গান শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কণ্ঠেও। তিনি বলেন, “এই নতুন ভবন শুধুমাত্র একটি স্থাপত্য নয়। এই ভবন ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আকাঙ্খা। এটা বিশ্বের কাছে ভারতের দৃঢ়চিত্তের বার্তা।” উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মোদি সরকার ৯৭১ কোটি টাকা খরচ নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করতেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল, ঐতিহ্যশালী সংসদ ভবন ভেঙ্গে নতুন করে সংসদ ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তা কী? যদিও বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল বিজেপি সরকার। শেষ পর্যন্ত হাজারও বিতর্ক সঙ্গে নিয়েই উদ্বোধন হল ঐতিহাসিক ভবনটির।