অভিরূপ দাস: ব্রিজের স্বাস্থ্য সন্দেহজনক! ফোন ঘোরালেই হবে। কলকাতার সমস্ত বড় ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিচ্ছে কেএমডিএ। বুধবার পুরসভায় মেয়র জানিয়েছেন, সমস্ত ব্রিজের উপর লেখা থাকবে কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারের নাম আর তাঁর ফোন নম্বর। যদি কোনও পথচারীর মনে হয়, ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে। কিম্বা পথচলতি যদি কারও সন্দেহ হয় ফাটল ধরেছে কোথাও। অবিলম্বে ফোন করা যাবে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ফাটল একদিনে ধরে না। ছোট্ট একটা চিড় ধীরে ধীরে বড় হয়। অনেক সময়ই রোজকার পথচারীদের চোখেই আগে পড়ে এমন চিড়। সে সময় সাড়ানো গেলে এড়িয়ে যাওয়া যায় বড় দুর্ঘটনা।
[আরও পড়ুন: বিদেশযাত্রীদের জন্য সুখবর, এবার তিন দিনেই মিলবে পাসপোর্ট!]
উদাহারণ প্রসঙ্গে মাঝেরহাট ব্রিজের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন মেয়র। তাঁর কথায়, বহুকাল ধরে ওই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করেছি। বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই ব্রিজ তৈরি করেছে জানতাম। কিন্তু কে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে সেটা জানা ছিল না। সেই সমস্যাই সমাধান হলো এবার।
প্রতিটি ব্রিজের জন্য দায়িত্বে থাকবেন একজন কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়ার। শুধু ফোনকলেই নয়। ওই ইঞ্জিনিয়ার সপ্তাহে একদিন করে ফ্লাইওভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসবেন। এদিন পুরসভার মাসিক অধিবেশনে নিজের এলাকার দুটি ব্রিজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কাউন্সিলর মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কলকাতার ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফুট ব্রিজ এবং একটি বেইলি ব্রিজের স্বাস্থ্য ভালো নয়। কাউন্সিলের কথায়, ব্রিজগুলোয় আলো নেই। ফলে রাত্রিবেলা গাড়িচালকদের অসুবিধা হয়। তারই উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকায় ছোট ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্রিজ আছে। ফি দিন ভারী গাড়ি যাতায়াত করে এই ব্রিজগুলো দিয়ে। মেয়রের কথায়, সেই ব্রিজগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই ব্রিজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কেএমডিএ করবে। তবে ব্রিজ পরিস্কার করবে কলকাতা পুরসভা।
উল্লেখ্য মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরপরই কেএমডিএ-র অধীনস্থ শহরের সেতুগুলির স্বাস্থ্য কেমন, তা নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। তৈরি করা হয় বিশেষ বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটির সঙ্গে শহরের একাধিক উড়ালপুল-সেতু ঘুরে দেখেছিলেন মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।