বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: শুধুমাত্র মহিলারাই নন বর্তমান আর্থ-সামজিক পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারা শোষিত হলে পুরুষেরা কীভাবে আইনি সাহায্য পেতে পারেন সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে দণ্ড সংহিতা-র নতুন বিলে। মঙ্গলবার সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন তিন বিল নিয়ে আলোচনার সময়েই কমিটি সদস্য বিজেপি সাংসদ নীরজ শেখর প্রশ্ন তুলেছিলেন, বর্তমানে বহু দফতরের মহিলা বস থাকেন। সেক্ষেত্রে অধস্তন কোনও পুরুষ কর্মী যৌন নিগ্রহ বা শোষণের শিকার হলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। কমিটির সামনে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা তার উপায় বাতলেছেন।
পাশাপাশি অভিযুক্তকে হাতকড়া পরানোর বিষয়টি রাখা হবে নাকি একেবারে তুলে দেওয়া হবে সেই প্রশ্নও উঠেছে কমিটির বৈঠকে। তাতে অবশ্য হাতকড়া পরানো পুরোপুরি তুলে না দিয়ে অপরাধের গুরুত্ব ও অভিযুক্তের পূর্বতন অপরাধের খতিয়ান দেখেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করারই সুপারিশ করেছেন অধিকাংশ সাংসদ।
[আরও পড়ুন: টেমসের মতো গঙ্গার পাড় সাজাবে রাজ্য, জলে নামবে দূষণহীন আধুনিক জলযান]
সোমবার থেকে শুরু হওয়া কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনেও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসেরে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ানকে। সোমবার গভীর রাতে কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে চিঠি দিয়ে কমিটিতে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা, শাসক দলের পছন্দসই বিশেষজ্ঞদের কমিটিতে তলব করে নিজেদের পছন্দ মত কথা বলানো এবং বিরোধীদের বক্তব্য কমিটির যে কাজের তালিকা মিনিটস এ উল্লেখ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।
কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ জন প্রতিনিধিদের উপর ভুয়া মামলা নিয়ে সরব হয়েছেন। পুলিশের হাত বাঁধার ব্যবস্থা করার কথায় ঘুরিয়ে বলেছেন দিলীপ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ের উপরেও তর্ক-বিতর্ক চলেছে এ-দিনের বৈঠকে।