সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। তাই ফের উৎসবের মেজাজে গোটা বাংলা। সেই চেনা ছবিই এবার ধরা দেবে কলকাতার পুজোয়। সেই ভিড়ে থইথই মণ্ডপ। রাস্তায় জনতার ঢল। লম্বা লাইন। সে লাইন পেরিয়ে দেবী দর্শন করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হতে পারে বইকী! দু-একটা ঠাকুর দেখেই রাত কাবার। উত্তর থেকে দক্ষিণের নানা বিখ্যাত মণ্ডপসজ্জা দেখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। কিন্তু হাতে যদি একটা ভিআইপি পাস থাকে, তাহলেই কেল্লাফতে। বিশেষ লাইন ধরে তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে। খাটনির সঙ্গে বাঁচবে সময়ও। ভাবছেন তো, এ হেন জ্যাকপট কীভাবে পাবেন? কী করে পুজোয় হয়ে উঠবেন ভিআইপি! চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রতি বছরের মতো এবারও ফোরাম ফর দুর্গোৎসব নিয়ে এল পুজো দেখার পাসপোর্ট। যা আদতে শহরের সেরা ৫২টি পুজোর ভিড়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখার ছাড়পত্র। সহযোগিতায় দ্য টেলিগ্রাফ ও পেটিএম ইনসাইডার। এই প্রয়াসের ডিজিটাল সহযোগী সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। টালি থেকে টালা মায় বেহালা, গোটা শহরের পুজো বন্দি দু’মলাটে। থাকছে দমদম পার্ক ভারত চক্র, টালা প্রত্যয়, হাতিবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী, বকুলবাগান সর্বজনীন, গড়িহাট হিন্দুস্তান ক্লাব, বেহালা নূতন সংঘের মতো সেরা পুজোয় ঢোকার ভিআইপি পাস (Pujo VIP Pass)। তিনজনের প্রবেশাধিকার মাত্র ৪৯৯ টাকাতেই।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে রাজ্যের কৃতিত্বই নেই! দাবি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের]
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর সম্পাদক শাশ্বত বোস জানালেন, করোনা কাল কাটিয়ে এবার শহরে মানুষের ঢল নামবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে মায়ের দর্শন করতে পারেন, তার জন্য সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে ভিআইপি পাসের মূল্য। জনপ্রিয় বা বহু দর্শনার্থী সমাগম হয়, এরকম ৫২টি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এবার প্রশ্ন হল, কোথা থেকে এই পাস কিনতে পারবেন।
পেটিএম ইনসাইডার ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ থেকে সরসারি বুক করতে পারেন পুজো দেখার পাসপোর্ট। ক্লিক করুন এই লিংকে। ৪৯৯ টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করে নিশ্চিত করুন নিজের পাসপোর্টটি। বুক করার পর পুজো দেখার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন রাজবিহারী ক্রসিংয়ের কাছের পুজো বাদামতলা আষাঢ় সংঘ এবং উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটার থেকে। ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে পাসটি সংগ্রহ করতে হবে।
যাঁরা একান্তই অনলাইনে বুক করতে পারবেন না, তাঁরা অফলাইনেও পাস কিনতে পারবেন। উপরোক্ত দু'টি জায়গাতে ওই একইদিনে মিলবে পুজোর পাসপোর্ট। তাহলে আর দেরি কেন, এখনই কিনে ফেলুন পুজোর পাস আর আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, প্রেম-ভালবাসার জন্য সময় বাঁচান।