সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা সত্যি হলে দ্রুতই ভারতীয় রেলে সমস্ত খাবারের দামই ৩০-৫০% পর্যন্ত বাড়তে চলেছে।বর্তমানে ট্রেনে যে খাবার পাওয়া যায়, তার দাম ২০১২-তে নির্ধারিত হয়। কিন্তু তারপর বেশ কয়েকবার মূল্যবৃদ্ধি হলেও বাড়েনি রেলের খাবারের দাম। রেলের কাঁধে চেপেছে বিপুল ক্ষতির বোঝা। সেই বোঝা খানিকটা হালকা করতেই এবার মহার্ঘ হতে চলেছে খাবার।
[মাসের পর মাস কাচা হয় না রেলের কম্বল-চাদর, বিস্ফোরক রিপোর্ট দিল ক্যাগ]
একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের দাবি, রেলের খাবারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল একটি বৈঠকে বসেন। ২০১২-র রেট অনুযায়ী ট্রেনে এক কাপ চায়ের দাম ৭ টাকা। প্রাতঃরাশ পাওয়া যায় ৩০(ভেজ) ও ৩৫(নন-ভেজ) টাকায়। এক বোতল মিনারেল ওয়াটার মেলে ১৫ টাকায়। ভেজ থালি পাওয়া যায় ৫০ টাকায়। নন-ভেজ থালির দাম পড়ে ৫৫ টাকা। কিন্তু রেলমন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ, এই সব খাবারের দামই বাজারের দামের চেয়ে বেশ কম। তার কারণ, ২০১২-র পর এই রেট বাড়েনি।
কিন্তু এবার লোকসানের বোঝা কমাতে রেল বোর্ডের ট্যুরিজম ও ক্যাটারিং ডিরেক্টরেট রেলের সব খাবারের নতুন দামের তালিকা বানিয়ে ফেলেছে। জিএসটি অনুযায়ী সব খাবারের দামই পরিবর্তিত হয়েছে। তবে রেলের দাবি, নতুন দামের সঙ্গে খাবারের মানের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে। স্টেশনে যে সমস্ত খাবার পাওয়া যায় তার উপর জিএসটি ৫%। কিন্তু চলন্ত ট্রেনে যে খাবার পাওয়া যায় তার উপর ১৮% জিএসটি লাগু রয়েছে। দাম বাড়ার পিছনে এটাও একটা অন্যতম কারণ।
[একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে রেলের ভাড়া, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের]
রেলযাত্রীদের অবশ্য অভিযোগ, কোনওদিনই তাঁরা ট্রেনে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া দামে খাবার পাননি। রেট চার্ট থাকলেও তা মানা হয় না রেলের খাবারে, এরকম হাজার হাজার অভিযোগ রেলের কাছে প্রতিদিইন জমা পড়ে। সেই সঙ্গে অখাদ্য পরিবেশন, পোকা খুঁজে পাওয়াও নতুন কিছুই নয় রেলের খাবারে। কিন্তু পরিমাণে কম, বিস্বাদ অথচ বেশি দাম দিয়ে রেলের খাদ্যসামগ্রী কিনতে অধিকাংশ যাত্রী আগ্রহ দেখাবেন কি, প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে।
[এসি কামরায় যাত্রীদের আর কম্বল দেবে না রেল!]
The post মহার্ঘ হচ্ছে রেলের খাবার, দাম বাড়তে পারে ৫০% appeared first on Sangbad Pratidin.