সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়তে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের। চোখের ছানি থেকে শুরু করে, অ্যাজমা, যক্ষা, থ্যালাসেমিয়া-সহ আরও একাধিক ওষুধের দাম এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির চাপের মুখে পড়েই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
এই মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি পেশ করে জানানো হয়েছে, এই সব ওষুধ তৈরি করতে যে সব কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় তার দাম বেড়েছে। যার জেরে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি লাগাতার চাপ দিচ্ছিল দাম বাড়ানোর জন্য। যার জেরে তাই বাধ্য হয়েই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেট বৃদ্ধি, প্রোডাকশন খরচ বৃদ্ধি-সহ আরও নানা কারণ। তবে তার জেরে একধাক্কায় ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়াটা বাড়াবাড়ি রকমের বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
যে সব ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, ১. বেনজাইন পেনিসিলিন ১০ লাখ আইইউ ইনজেকশন (ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণে ব্যবহার করা হয় এই ওষুধ)। ২. অ্যাট্রোপিন ইনজেকশন ০.৬ মি.গ্রা/এম.এল (ধীর হৃদস্পন্দনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত)। ৩. স্ট্রেপটোমাইসিন পাউডার ইনজেকশন (যক্ষা ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণে), ৪. স্যালবুটামল ট্যাবলেট (অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায়), ৫. পিলোকারপাইন (ছানি অপারেশনের পর চিকিৎসায় ব্যবহৃত), ৬. কেফাড্রক্সিল (ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণে), ৭. ডেসফেরিওক্সামাইন (অ্যানিমিয়া ও থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায়), ৮. লিথিয়াম ট্যাবলেট (মানইসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায়)।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ ও ২০২১ সালে একইভাবে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছিল বহু ওষুধের। এই ঘটনায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের উপর ফুঁসে ওঠে দেশের জনগণ। এর পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্যারাসিটামল-সহ প্রায় ৮০০টি ওষুধের দাম একধাক্কায় ব্যাপক বাড়ানো হয়। ক্রমাগত ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের ক্ষোভ টের পেয়ে মে মাসে নিত্য ব্যবহৃত ৪১টি ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে এবার একধাক্কায় ৫০ শতাংশ বাড়ছে ওষুধের দাম।