সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক কী কারণে রবিবার ফুঁসে উঠেছিল প্রকৃতি? কেন হিমবাহে ভাঙন ধরে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ধেয়ে এসেছিল বিধ্বংসী হড়পা বান? এসব প্রশ্নের উত্তরে এবার উঠে এসেছে এক গোপন তেজস্ক্রিয় যন্ত্রের কথা।
[আরও পড়ুন: ভিন্ন ধর্ম-বর্ণের বিয়ে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট]
উত্তরাখণ্ডে ঘটা ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে ভূগোল বিশারদরা নিজেদের মতো ব্যাখ্যা দেবেন। পরিবেশবিদরা মানুষের কর্মকাণ্ডের উপর দায় চাপাবেন। কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ওই এলাকা ও সন্নিহিত অঞ্চলে যাদের বাস, সেই গ্রামবাসীদের অভিজ্ঞতা কী বলছে? তেজস্ক্রিয়তা। হ্যাঁ। চামোলি জেলার যে অংশে গত রবিবার এই বিপর্যয় ঘটেছিল, তার ঢিলছোঁড়া দূরত্বে থাকা রেইনি গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, দেবভূমিতে রবিবারের মহা-প্রলয়ের নেপথ্যে আসলে রয়েছে কয়েক দশক আগে হারিয়ে যাওয়া একটি তেজস্ক্রিয় যন্ত্র। ওই যন্ত্র থেকে উৎপন্ন তাপই হিমবাহে ধরিয়েছিল চিড়। যা বাড়তে বাড়তে ফাটলে পরিণত হয়। হিমবাহ ভেঙে পড়ে। তার পর প্রবল শব্দে এবং বেগে সেই হিমবাহের দৈত্যাকার চাঙড়ই মাটি-কাদা ও নুড়িপাথরের স্রোত সঙ্গে নিয়ে নীচের দিকে নামতে থাকে । বিশাল জলধারা পরিণত হয় হড়পা বানে, যা ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায় বাঁধ এবং লাগোয়া জনবসতির একাংশকে।
এহেন দুর্গম অঞ্চলে কোথা থেকে এল আধুনিক তেজস্ক্রিয় যন্ত্র? কেনই বা তা নিয়ে এত চিন্তিত গ্রামবাসীরা? জানা যায়, ১৯৬৫ সালে নন্দাদেবীতে যৌথভাবে একটি গোপন অভিযান চালায় ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB) ও আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (CIA)। ওই পাহাড়ে চিনের উপর নজরদারি চালাতে একটি আনবিক শক্তিচালিত অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানোর কথা ছিল অভিযাত্রী দলটির। কিন্তু আবহাওয়া প্রচণ্ড খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেবার যন্ত্রটিকে ফেলে চলে আসেন তাঁরা। পরে বেশ কয়েকবার অভিযান চালালেও খোঁজ মেলেনি ওই আনবিক যন্ত্রটির। কিন্তু স্থানীয়দের বিশ্বাস, এখনও বরফের নিচে চাপা পড়ে কাজ করে চলেছে ওই যন্ত্রটি। শতাব্দী ছোঁয়া সেই আনবিক যন্ত্রটির জন্যই নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। যার ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকমের হলেও স্থানীয় মানুষের মতে ওই যন্ত্রের জন্য ভেসে গিয়েছে গ্রাম।