স্টাফ রিপোর্টার: হয়নি উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Education) পরীক্ষা। নেওয়া যাবে না কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষাও। মাধ্যমিকই (Madhyamik) শেষ লিখিত পরীক্ষা, যেটিতে প্রথাগতভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন চলতি বছরের দ্বাদশ উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা। সে কারণে স্নাতক কোর্সে পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা যাচাইয়ে মাধ্যমিকের ফলাফলকেও গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্যের একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
স্নাতক স্তরে ছাত্র ভরতিতে মাধ্যমিকের নম্বরকে গুরুত্ব দিচ্ছে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকারের কথায়, “এ বছরের পড়ুয়ারা ২০১৯ সালে দশমের পরীক্ষা দিয়েছিল। তখন কোভিড না থাকায় ওই পরীক্ষাটাই একমাত্র ঠিকঠাক হয়েছিল। সেকারণেই আমরা মেধা যাচাইয়ের জন্য মাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্ব দিচ্ছি।” এভাবেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) অধীনস্থ বহু কলেজ মাধ্যমিকের নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায় বাংলায় ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, জেনে নিন কোন কোন জেলায় জারি সতর্কতা]
আবার অনেক কলেজই শুধু উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতেও পড়ুয়া ভরতি নেবে। মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত বলেন, “প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছিল যে আমরা উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিকের ভিত্তিতে পড়ুয়া ভরতি করব। কিন্তু, মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাই আবার মাধ্যমিক নিলে বিষয়টা ঘেঁটে যেতে পারে। তাই আমরা উচ্চমাধ্যমিকের ভিত্তিতেই পড়ুয়া ভরতি নেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি অনলাইন-টেলিফোনিক গ্রুপ ডিসকাশনের মাধ্যমে পড়ুয়া ভরতি করতে চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিজ্ঞান শাখা। সেই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছেও। কিন্তু, উচ্চশিক্ষা দপ্তর সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তাই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতেই স্নাতকের পড়ুয়া ভরতি নেওয়া হবে যাদবপুরের কলা ও বিজ্ঞান শাখায়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র ভরতিতে উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের লোকেরা বাংলায় রেশন তুললেও পাবেন বিনামূল্যে, সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর]
তবে কোন বিভাগে কোন ফর্মুলায় ছাত্র ভরতি নেওয়া হবে, সে বিষয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভরতির পোর্টাল খোলার সম্ভাবনা কম বলে জানা গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আলোচনা চলছে। মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। আশা করি, সামনের সপ্তাহে প্রক্রিয়া চালু করে দিতে পারব।” যাদবপুরের মতো প্রেসিডেন্সিতেও আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ভরতি প্রক্রিয়া চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।