নব্যেন্দু হাজরা: চলতি মাসের গোড়াতেই বাংলায় উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু আপাতত তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের ডেঙ্গু পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন বিধানসভায় মমতা জানান, আগে রাজ্যে ১১ হাজার করে ডেঙ্গু কবলে পড়ছিলেন। এখন সেই সংখ্যাটা কমে পাঁচশোয় নেমে গিয়েছে। পাশাপাশি পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যে ডেঙ্গুতে (Dengue) মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তার মধ্যে ছ’জন প্রাণ হারান সরকারি ও পাঁচজন বেসরকারি হাসপাতালে। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও শিলিগুড়িতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। তবে বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে মশাবাহিত এই রোগ। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কমবে ডেঙ্গু। বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে দলীয় ও বিরোধী বিধায়কদের আগামী কয়েকদিন সচেতনতা চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জয়ের দিনই বিশ্বকাপের বাইরে আরও এক ফরাসি তারকা, পেনাল্টি মিস করে আক্ষেপ লেওনডস্কির]
ডেঙ্গু নিয়ে এতদিন সরকারি ভাবে কোনও তথ্য তুলে ধরা হয়নি। ডেঙ্গুর তথ্য লোকানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। একাধিকবার এমন অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দল। তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পোর্টালে ডেঙ্গুর তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। অন্য রাজ্যেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। কিন্তু একই নির্দেশ মেনে কেন্দ্র সরকারও কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে জেলা সফর থেকে ফিরে নবান্নে (Nabanna) ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা। তারপরই তাঁর নির্দেশ মেনে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। প্রকাশ করা হয় ১৪ দফা গাইডলাইন। যেখানে হাসপাতালগুলিকে ২৪ ঘণ্টাই ফিভার ক্লিনিক চালাতে বলা হয়। হাসপাতালে ভরতি থাকা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ল্যাব সার্ভিসও চালু রাখতে বলা হয়। যাতে টেস্টের রিপোর্ট টেস্টের দিনেই পাওয়া যায় তারও ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্লাড টেস্টের রিয়েল টাইম রিপোর্টও দ্রুত পাঠাতে হবে যাতে চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব না হয়।