shono
Advertisement

চোখের জলে কেশ বিসর্জন, মারণ জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ে চুল কাটছেন চিনের নার্সরা

সংক্রমণ এড়াতে মনখারাপ নিয়েই চুল কাটাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। The post চোখের জলে কেশ বিসর্জন, মারণ জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ে চুল কাটছেন চিনের নার্সরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:07 PM Feb 18, 2020Updated: 06:07 PM Feb 18, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুচবরণ কন্যাদের ছিল মেঘবরণ চুল। তাঁরা রাঁধতেনও, চুলও বাঁধতেন। খালি চোখে দেখা যায় না, এমন একটা জীবাণু এসে সব কেড়ে নিল! কেটে ফেলতে হল আজানুলম্বিত কেশরাশি। চিনের ইউহান, করোনার আঁতুরঘরে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে দিতে ক্লান্ত নার্সদের চুল কেটে দেওয়া হল সংক্রমণের আশঙ্কায়।

Advertisement

গত বছরের শেষদিক থেকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। নতুন এই জীবাণুর দাপটে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছুঁইছুঁই। আক্রান্ত শতসহস্র। গত প্রায় দু’মাস ধরে ইউহানের হাসপাতালগুলোতে জরুরি পরিষেবা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংক্রমণ এড়াতে সর্বোচ্চ সুরক্ষাবর্ম পরে চলছে কাজ। তা সত্ত্বেও করোনার থাবা থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না তাঁরা। এক চিকিৎসক, হাসপাতালের ডিরেক্টর ও ছ’জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মাসুদ আজহারের সাহায্যে ফের ভারতে হামলার ছক পাকিস্তানের]

এরপর আর ঝুঁকি নেননি চিকিৎসক, নার্সরা। সংক্রমণের সমস্ত পথ বন্ধ করতে চুল কেটে ফেললেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে দুটি উপকার হবে বলে মনে করেন তাঁরা। প্রথমত, চুলের মাধ্যমে প্রাণঘাতী জীবাণুর সংক্রমণ এড়ানো যাবে। দ্বিতীয়ত, হাসপাতালে প্রবেশের পর যে সুরক্ষাবর্ম তাদের পরতে হয়, তা বদল করাও অনেক সহজসাধ্য এবং কম সময়ের মধ্যে হবে। সূত্রের খবর, নার্সদের এখন কাজ শুধুই রোগীদের দিকে নজর রাখা, ঠিকমতো চিকিৎসা করা। জরুরিকালীন পরিষেবায় যাঁরা নিযুক্ত, তাঁরা দিনে মাত্র একবার খাবার খাচ্ছেন, শৌচকাজও করছেন না। বদলে ডায়াপার ব্যবহার করছেন। যাতে সম্পূর্ণ সময় শুধুই সেবার কাজে নিযুক্ত থাকতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে চুলের যত্ন দূর অস্ত।

[আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে জিনপিং প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা, গ্রেপ্তার চিনের সমাজকর্মী]

কিন্তু এভাবে চুল বিসর্জন দিতে কি আর ভাল লাগছে? বছর ছাব্বিশের দিং দানি বলছেন, “আমি অনেকদিন ধরেই বড় চুল রাখছি। এতটুকুও কাটতে চাইনি। কিন্তু করোনার সঙ্গে মোকাবিলায় চুল কেটে ফেলাই শ্রেয় মনে করলাম।” বেজিংয়ের চিকিৎসার মূল দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ক্যানডিস কিনের কথায়, “ইউহানে থাকা প্রত্যেক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু সকলকে বুঝতে হবে যে ডাক্তাররাও মানুষ।” কোন আক্ষেপ থেকে যে তিনি একথা বললেন, তা স্পষ্ট। সত্যি, মারণ জীবাণুর সঙ্গে যুঝতে এবার চুলও বিসর্জন দিতে হচ্ছে!

The post চোখের জলে কেশ বিসর্জন, মারণ জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ে চুল কাটছেন চিনের নার্সরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement