অর্ণব দাস: তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ‘নিখোঁজ’! হ্যাঁ, এমন পোস্টারেই ছয়লাপ হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু ব্যাপারটা কী?
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরতের নামে সোমবার পড়েছে নিখোঁজ পোস্টার। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ধরনের পোস্টার পড়েছে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতটি বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত। সোমবার এই পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এবং চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোনও পোস্টারের নিচে লেখা, সাধারণ জনগন, আবার কোনওটায় লেখা প্রতারিত জনগন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির।
তৃণমূলের একাংশ দাবি করে, ঘটনাটি সাংসদের উপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই প্রসঙ্গে দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, “গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বসিরহাটের সাংসদ ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়ন-সহ সব কাজে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সাংসদকে পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সেই কারণেই এলাকার মানুষ এই ধরনের পোস্টার দিয়েছে।” বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি।
তবে সাংসদ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা বিরোধীদের কাজ। কোনও ইস্যু না থাকার কারণেই বিরোধীরা এই ধরনের কুৎসা রটাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নে সাংসদের ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও সাংসদ নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের চাপাতলা অঞ্চল সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। যারাই কাজটি করুক না কেন, অন্যায় কাজ হয়েছে।”
এদিকে, তারকা সাংসদের অনুপস্থিতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ বসিরহাটের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের একাংশও। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, তিনি ধূমকেতু। বসিরহাটে শুধু প্রচার করতে আসেন। করোনা কালে বসিরহাটের সাংসদকে দেখা যায়নি। গত বছর আমফানের সময়ও মানুষ তাঁকে পাশে পায়নি বলে অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে এখনও অভিনেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।