সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্ল্যাশব্যাক, ৯ জুলাই, ২০১৯। ম্যাঞ্চেস্টারের স্কোরবোর্ড দেখে মন ভেঙেছিল ১৩৫ কোটি ভারতীয়র। কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বিরাটের ভারত। তৃতীয়বার বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। ২০১৫ সালের পর আরও একবার সেমিফাইনালের মঞ্চ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। সেটাই তো ছিল মাহির শেষ বিশ্বকাপ। তাই ছিটকে যাওয়ার যন্ত্রণায় চোখের কোণ ভিজেছিল অক্লান্ত পরিশ্রম আর লড়াই করা ক্রিকেটারদের। উলটোদিকের ড্রেসিংরুমে তখন অকাল দিওয়ালি। ফাইনালে পৌঁছনোর সেলিব্রেশন।
কাট টু, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩। চার বছর পর আবর সাগরের তীরে মধুর প্রতিশোধ নিল রোহিত শর্মার ভারত। ধোনির অসম্পূর্ণ কাজ ওয়াংখেড়ের বাইশ গজেই সম্পূর্ণ হল এক মুম্বইকরের হাত ধরে। ২০১১ সালে যে মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ধোনি দ্বিতীয়বার দেশকে বিশ্বজয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেখানেই আজ কিউয়ি বধ করে তৃতীয়বার বিশ্বজয়ের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন রোহিতরা। অদৃশ্যভাবেই যেন ধোনির চোখের জল মুছিয়ে দিলেন রোহিত।
[আরও পড়ুন: গুরুর সামনে নতজানু, স্ত্রীকে ফ্লায়িং কিস, একটাই তো হৃদয় কোহলি, আর কতবার জিতে নেবেন!]
খাতায়-কলমে ভারতের স্কোর দশে-দশ। অর্থাৎ বিশ্বকাপে অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘ ১২ বছর পর কাটল সেমিফাইনালের শক্ত গাঁট। সেই ২০১১-র পর ঘরের মাঠেই আবারও চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামবেন কোহলিরা। পথের কাঁটার মতোই দাঁড়িয়েছিলেন উইলিয়ামসনরা। শুধু তো ২০১৯ বিশ্বকাপ নয়, ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও তো এই কিউয়ি বাহিনীর কাছেই ফাইনালে পরাস্ত হয়ে ট্রফি হাতছাড়া করেছিলেন কোহলিরা। ধোনি আর কোহলির হয়ে বদলা নিলেন রোহিত। সঙ্গ দিল গোটা দল। বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ারের শতরান থেকে শামির সাত উইকেট- শত্রুর মুখ ভোঁতা করে দেওয়ার ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আর কী-ই হতে পারে।
টিম ইন্ডিয়া যে গোটা দেশের প্রত্যাশার পারদ চড়িয়ে দিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আহমেদাবাদের ২২ গজে অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এবার রোহিতদের ম্যাজিকের অপেক্ষায় ক্রিকেটভক্তরা।