সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাপের মুখে আর বেদের গালে একসঙ্গে চুমুর প্রবাদ আছে বটে। তার অর্থও আলাদা। প্রয়োগও ভিন্ন। কিন্তু আক্ষিরক অর্থেই সাপের মুখে কি চুমু খাওয়া সম্ভব? ওড়িশার এক যুবক সেই অসম্ভবকেই কার্যত বাস্তবে পরিণত করেছেন। আর তাতেই তাক লাগছে গোটা দেশের।
[ যাত্রীদের খাবার চুরি করে খাচ্ছেন বিমানসেবিকা, ভাইরাল ভাজ্জির ভিডিও ]
ময়ূরভঞ্জের উথানি নওগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এই যুবক। কৃষ্ণ চন্দ্র গুছাইত বললেই একডাকে সকলে তাঁকে চিনবেন। কারণ তাঁর অকৃত্তিম পশুপ্রেম। আর অকুতোভয় মানসিকতা। এলাকায় সাপ ধরিয়ে হিসেবে তাঁর তুমুল খ্যাতি। হাতের কায়দায় যে কোনও বিষধরকে কবজা করে ফলেতে পারেন অনায়াসে। নিঃসন্দেহে তা সাহসের কাজ। তবে তার থেকেও বড় কৌশল। সারা দেশেই বহু মানুষ সাপ ধরার কাজ করেন। তবে তাঁদের হাতে সরঞ্জামও থাকে বেশি। দিনকয়েক আগে ভিনদেশে সাপ ধরার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। রীতিমতো আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে ও সুরক্ষা নিয়েই সে কাজ করেছিলেন পেশাদার ব্যক্তিরা। কিন্তু ওড়িশার এই যুবকের সম্বল বলতে সাহস আর হাতের কায়দা। স্রেফ হাত দিয়েই বহু বিষধরকে সে কবজা করতে পারে। এমনকী সাপের ফণার কাছে মুখ নামিয়েও বিন্দুমাত্র ভীতি নেই তাঁর।
[ জানেন, প্রধানমন্ত্রীর ধোপদুরস্ত পোশাকের খরচ বহন করে কে? ]
পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় হাজার পাঁচেক সাপ বশীভূত হয়েছে তাঁর হাতের জাদুতে। যেখানে যখন বিপদের পড়েছেন মানুষ, পরিত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছেন কৃষ্ণ। বিষধর ঠাণ্ডা হয়েছে। শান্তি পেয়েছে মানুষ। তবে স্রেফ সাহস দেখাতে গিয়ে এ কাজ করেন না কৃষ্ণ। আদতে তিনি পশুপ্রেমিক। সাপের ভয়ে কেউ প্রাণীটিকে মেরে ফেলুকত তা সে চায় না। তাই উদ্ধার করে তাদের প্রাণরক্ষা করে। শুধু সাপ নয়, অন্যান্য প্রাণীদের প্রতিও এ যুবক একই রকম সদয়। বনের একাধিক প্রাণী আহত হলে তিনিই এগিয়ে যান। চিকিৎসা করে তা সারিয়ে তোলেন। সাপ থেকে হাতি সব প্রাণিই তাঁর কাছে সমান। সম্মান-স্বীকৃতির পরোয়া তিনি করেন না। আপাতত নিজের পশুপ্রেমেই মশগুল এই যুবক।
[ জানেন, ভারতে কোন সম্প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ধনী? ]
The post সাপের মুখে অনায়াসে চুমু, তাক লাগাচ্ছে এই যুবকের কীর্তি appeared first on Sangbad Pratidin.