সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ইংরেজি জ্ঞানে টক্কর দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পেলেন শশী থারুর! হ্যাঁ, সাংসদের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট দেখে এমনটাই বলছে নেটদুনিয়া। ভারতের রাজনীতিতে এক অন্যতম উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। যিনি নিজের বিরাট ইংরেজি শব্দভাণ্ডারের জন্যও পরিচিত। যাঁরা ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী তাঁরাও হতবাক হয়ে যান শশীর ইংরেজি শব্দকোষ দেখে। সংসদের ভিতরে হোক বা বাইরে, রাজনীতিজ্ঞানের পাশাপাশি নিজের ভাষাজ্ঞানটাও দিব্যি বুঝিয়ে দেন শশী থারুর। ভাষার লড়াইয়ে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদকে হারানো প্রায় অসম্ভব হলেও, জনৈক এক নেটিজেন যা করে দেখালেন, তাতেই রীতিমতো কাবু শশী থারুর। তাঁর পোস্টে জনৈক এক নেটিজেন যা লিখছেন, আর তার উত্তরে শশী থারুর যা লিখলেন। তাতেই হেসে লুটোপাটি খাচ্ছে নেটদুনিয়া।
বৃহস্পতিবারই ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্টের মন্তব্যের কড়া জবাব দিচ্ছিলেন শশী থারুর। ঠিক তখনই জনৈক নেটিজেনের দুষ্টুমি ও দুর্বোধ্য ইংরেজি প্রতিক্রিয়ায় খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। আদপে ওই নেটিজেন কি বলতে চাইছেন তা বুঝতে গিয়েই কুপোকাত হয়ে যান তিনি। আর নিজের দূর্বোধ্য ইংরেজি ভাষাজ্ঞান নিয়ে ওই নেটিজেনের সঙ্গে ইংরেজিতে আলাপচারিতায় যাননি শশী। বরং আমজনতার মতোই রোমান হরফের হিন্দিতে ওই নেটিজেনের কাছে সাংসদ সহজ করে জানতে চাইলেন 'কি বলতে চাইছ ভাই?' উত্তরে সেই মানুষটি আরও এক কাণ্ড ঘটান। একদম শুদ্ধ হিন্দিতে তিনি নিজের বক্তব্য জানান। বাংলা যার অর্থ দাঁড়ায় 'নিয়মকানুনের বিতর্ক যখন এলোমেলো ও পরস্পরবিরোধী ভাবনার ফলাফলে জড়িয়ে যায়, তখন তার কোনও অর্থবহ দার্শনিক সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় না।'
ইংরেজি ভাষায় অগাধ পাণ্ডিত্য, কিংবা সংসদের রাজনৈতিক বাদানুবাদে পারদর্শী হওয়ার পাশাপাশি শশী থারুর মানুষটির আর একটি পরিচয় তিনি বেজায় রসিক। সংসদে বক্তব্য রাখার সময় তাঁর রসবোধ বারবার ফুটে ওঠে। যদিও ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বিরোধী পক্ষের এই জনপ্রিয় সাংসদ একজন গুরুগম্ভীর ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। এবার নিজের সেই গাম্ভীর্য ছেড়ে রেখে নিজের রসিক মানুষটাকেই প্রকাশ্যে আনলেন শশী থারুর।
