সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা কৃষক। পরিবারের সামর্থ্য নেই পড়ানোর। এবার পাশ না করলে বিয়ে দিয়ে দেবে। তাই দয়া করে যেন পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। বিহারের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী পরীক্ষার খাতায় এমনই এক আর্জি জানাল! এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘিরে অবাক পরীক্ষকরা।
জানা যাচ্ছে, বিহারের (Bihar) আরা মডেল স্কুলের খাতা দেখছিলেন পরীক্ষক। তখনই তাঁর নজরে আসে ওই চিঠি। পরীক্ষার্থী কিশোরী (Class 10 student) লিখেছেন, ‘আমার বাবা একজন পরীক্ষক। আমাদের পক্ষে শিক্ষার ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই ওঁরা চান, আমরা যেন পড়াশোনা না করি। বলেই দেওয়া হয়েছে, ভালো নম্বর না পেলে আর পড়ানো হবে না। এবং বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। আমার সম্মান বাঁচান। আমি এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।’
[আরও পড়ুন: সেলা টানেলে বেজায় চিন্তিত চিন, ফের অরুণাচল নিয়ে দন্তবিস্তার ‘ড্রাগনে’র]
স্বাভাবিক ভাবেই এমন লেখা পড়ে অবাক পরীক্ষকরা। তবে কেবল এমন আর্জিই নয়, পরীক্ষার খাতায় আরও অদ্ভুত সব বিষয় চোখে পড়েছে তাঁদের। কেউ হয়তো কবিতা লিখেছে, কেউ বা শায়েরি। আবার আবেগমথিত আর্জিও অনেকেই লিখছে। এপ্রসঙ্গে কী বলছেন পরীক্ষকরা। তাঁদের দাবি, যে যা ইচ্ছে লিখতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে নম্বরের কোনও সম্পর্ক নেই। এক শিক্ষকের কথায়, ”আমরা ওদের পাশ করাতে পারব না। কেবলমাত্র সঠিক উত্তর হলেই নম্বর দেওয়ার সুযোগ থাকে। এমন কথা লিখলে তা কেটে দিয়ে শূন্য দেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।”