সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোককথা বলে, রোদে হোক বা জ্যোৎস্নায়, ছায়া পড়ে না একমাত্র মৃত মানুষের। কিন্তু এ তো আর লোককথা না, একেবারে ঘোর বাস্তব। ঘটনাটি খোদ মুম্বই (Mumbai) শহরের। সোমবার দুপুরে যা প্রত্যক্ষ করে বুক কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্য নগরীর বাসিন্দাদের। আকাশে গনগনে সূর্য থাকলেও মাটিতে ছায়া পড়েনি বেশ কিছুক্ষণের জন্য! এ কী কোনও ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত? ব্যাপারটা কী?
শহর মুম্বইয়ে সোমবার দুপুর ১২টা বেজে ৩৫ মিনিটের পর কয়েক মিনিটের জন্য যাবতীয় ছায়া উধাও হয়ে যায়। মানুষ-পশু-পাখি থেকে বাড়ি-গাড়ি সব কিছুরই। যা দেখে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। যদিও বিষয়টি আদৌ ভয় বা আতঙ্কের না মোটেই। এই প্রাকৃতিক কাণ্ডকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘জিরো শ্যাডো ডে’ (Zero Shadow Day)। যা নির্দিষ্ট এলাকায় বছরে দু’বার পর্যন্ত ঘটতে পারে, এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কেন ঘটে এমন ম্যাজিক?
[আরও পড়ুন: শুরুর দিনই শেয়ার বাজারে বড় ধাক্কা খেল LIC, লোকসানের মুখে বিনিয়োগকারীরা]
অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার পাবলিক আউটরিচ অ্যান্ড এডুকেশন কমিটির মতে, যে জায়গাগুলি +২৩.৫ এবং -২৩.৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত সেগুলি জিরো শ্যাডো দিবসের সাক্ষী হতে পারে। তবে এই ঘটনার তারিখ স্থানভেদে বদলে যেতে পারে। যেহেতু পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষ একটি কোণে হেলে রয়েছে, সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটে, এও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে জায়গাগুলি +২৩.৫ এবং -২৩.৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত সেখানে সূর্য দিনের সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছালে অদৃশ্য হতে পারে ছায়া। আর এমন দিনকেই বলে জিরো শ্যাডো ডে।
[আরও পড়ুন: শিবলিঙ্গের এলাকা সিল করেই চলবে নমাজ, জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর (Kolhapur)। সেখানে মাঝে একদিন দুপুর ১২টা ২৯-এর পর ৫০ সেকেন্ডের জন্য গায়েব হয়ে গিয়েছিল ছায়া। অন্যদিকে ওড়িশার ভূবনেশ্বরে (Bhubaneswar) একই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেখানে টানা ৩ মিনিটের জন্য ছায়ার মৃত্যু হয়েছিল। আশ্চর্য প্রকৃতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল মানুষ।