সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশে উড়ছে পাঁচশো টাকার নোট। কুড়ানোর চেষ্টা করছেন পথচলতি মানুষ। না কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে দিল্লিতে। গ্রেপ্তারির হাত থেকে বাঁচতে এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন এক পুলিশ কর্মী।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, দিল্লিতে একজন অ্যাসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। গ্রেপ্তারি এড়াতে মরিয়া হয়ে ওই টাকা আকাশে ছুড়ে দেন তিনি। পথচলতি মানুষ সেই নোটগুলি কুড়িয়ে নিতে ছুটে আসেন। জানা গিয়েছে, হাউজ কাজি থানার অ্যাসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর রাকেশ কুমার একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫,০০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। তবে, হাউস কাজির বাজার সীতারাম এলাকার ওই বাসিন্দা ঘুষ দেওয়ার আগেই দিল্লি পুলিশের ভিজিল্যান্স দপ্তরকে রাকেশের বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এরপরই ওই সব ইনস্পেক্টরকে হাতেনাতে ধরার জন্য একটি ফাঁদ পাতা হয়।
অভিযোগকারীর দাবি, তাঁকে ভুয়ো কেসে না জড়ানোর হুমকি দিয়ে ঘুষ চেয়েছিলেন রাকেশ। অভিযোগকারী ৯ সেপ্টেম্বর ভিজিল্যান্স শাখায় লিখিত অভিযোগ জানান এএসআই কুমারের বিরুদ্ধে। নিজের অভিযোগে তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী তাঁকে দুপুর ১২.৩০টায় ওই টাকা নিয়ে থানায় পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী ফাঁদ পাতে ভিজিল্যান্স দপ্তর। তাঁদের নির্দেশে অভিযোগকারী ৫০০ টাকার ৩০টি নোট নিয়ে থানায় পৌঁছান। এএসআই রাকেশকে থানায় আসতে দেখে অভিযোগকারী আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ভিজিল্যান্স শাখার দলকে সংকেত দেন।
ঘুষের টাকা নেওয়ার পরেই ভিজিল্যান্সের দলটি রাকেশকে গ্রেপ্তার করার জন্য থানায় অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়ে টের পেয়ে যান এএসআই রাকেশ। গ্রেপ্তারি এড়াতে ওই নগদ টাকা আকাশে ছুড়ে দেন তিনি। বাতাসে ভাসতে থাকা টাকা দেখে ছুটে যান পথচলতি মানুষ। প্রায় ৫০০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। ভিজিল্যান্স টিমের কর্মীরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ১০,০০০ টাকা উদ্ধার করেন। এত করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এএসআই কুমারকে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ জেলা আদালতে হাজির করা হবে।
