সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রহস্যময় এই মানব জীবন, তেমনই রহস্য ঘেরা তার শরীর। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিক যুগেও বহু প্রশ্নের উত্তর অজানা। এমন ঘটনাই হয়তো নেকেড সায়েন্সের (Naked Science) আওতায় পড়ে। তেমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হল বিহার (Bihar)। সেখানে ৪০ দিনের এক শিশুর পেটে মিলল ভ্রূণ (Foetus)। যে ঘটনায় চমকে গিয়েছেন শিশুর বাবা-মা, এমনকী চিকিৎসকরাও। কীভাবে এমনটা সম্ভব হল?
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মতিহারিতে। শিশুর পরিবার জানিয়েছে, কিছুদিন থেকেই অসুস্থ ছিল তাদের ৪০ দিন বয়সি শিশুটি। ঠিক মতো মূত্রত্যাগ করছিল না সে। যদিও শিশুটির অসুস্থতার প্রকৃত কারণ বুঝতে পারছিল না পরিবার। এরপরেই তাকে মতিহারির (Motihari) রহমানিয়া মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়। চিকিৎসকরাও দেখেন, শিশুটির পেলভিস (Pelvis) ফুলে রয়েছে। এছাড়াও সে স্বাভাবিক ভাবে মূত্রত্যাগ করতে পারছে না। এরপরে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফল দেখেই চমকে যান খোদ চিকিৎসকরাও। তাঁরা দেখেন, শিশুটির পেটে রয়েছে ভ্রূণ। এমনকী তা ক্রমশ বেড়ে উঠছে।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগেই সন্তানের জন্ম দেন বধূ, জয়পুরের অভিশপ্ত কুয়ো থেকে এবার উদ্ধার সদ্যোজাতর দেহ]
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এটি আসলে একটি বিরল ঘটনা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফেটু’ (Foetus in Fetu)। যা ১০ লক্ষ নবজাতকের মধ্যে মাত্র ৫ জনের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে দ্রুত অস্ত্রোপচার না হলে শিশুটির বিপদ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই শিশুটির পেটে ভ্রূণ তৈরি হয়। যা ক্রমশ বেড়ে ওঠে। যেমনটা হয়েছিল বিহারের এই শিশুটির ক্ষেত্রে। তবে সঠিক সময়ে শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসায় সে বিপন্মুক্ত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কোটি টাকার BMW গাড়ি নদীতে ফেললেন ব্যক্তি, কারণ জানলে অবাক হবেন!]
মতিহারির রহমানিয়া মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. তাবরেজ আজিজ (Dr Tabrez Aziz) বলেন, “৪০ দিনের শিশুর পেটে ভ্রূণ থাকা খুবই বিরল একটি ঘটনা। একে বলে ‘ফেটাস ইন ফেটু’। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শিশুটির। সে এখন ভাল আছে। হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে তাকে।”