সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় হাতির এক নাম ‘মহাকাল’। যা সম্ভ্রমের সঙ্গে উচ্চারণ করেন স্থানীয়রা। এমনকী ‘মহাকালে’র মন্দির রয়েছে। বলা বাহুল্য, হাতির বিরাট চেহারা ও শক্তির কথা মাথায় রেখেই ‘মহাকাল’ নামকরণ। ওই রকম চেহারার একটি জংলি হাতিকে স্রেফ চপ্পল দিয়ে ভয়ে দেখিয়ে তাড়াতে দেখা গেল এক দল যুবককে। তার ফল হল বিপজ্জনক। পালটা তেড়ে এল হাতিটি। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই একটি ভিডিও। যা দেখে আতঙ্কিত নেটিজেনরা। ঠিক কী ঘটেছিল?
অসমের জঙ্গলের ঘটনা। ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বন দপ্তরের আধিকারিক পারভিন কাসওয়ান। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জঙ্গলে উঁচু জমিতে দাঁড়িয়ে একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতি। বেশ কিছুটা নিচে ঢালু মাটিতে এক দল যুবক। হাতিটিকে পায়ের চপ্পল খুলে ভয় দেখান ওই যুবকেরা। ‘চপ্পলের ভয়ে’ শুরুতে খানিক পিছোয় হাতিটি। যদিও কয়েক সেকেন্ড পরেই রুদ্ররূপে তেড়ে আসে ‘মহাকাল’। ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ভিডিওতে এই টানাপোড়েন চলতে থাকে।
[আরও পড়ুন: উদ্বোধনের বাকি দেড় মাস, প্রকাশ্যে অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি]
বন দপ্তরের আধিকারিক এই ভিডিওর ক্যাপশানে সাধারণ মানুষকে সাবধান করেছেন। কটাক্ষের সুরে তিনি লেখেন, “এখানে আসল জন্তুটিকে আপনি শনাক্ত করুন। এমন আচরণের পর বিরাট প্রাণীটিকে খুনি বলা হবে! ভুলেও কখনও এমন কাজ করবেন না। প্রাণ যেতে পারে আপনার। ভিডিওটি অসমের।”
[আরও পড়ুন: ‘সোনিয়াকে প্রণাম, খাড়গেকে নয়! দলিত বলেই?’ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির]
হাতির ভিডিও বৃহস্পতিবার পোস্ট করেছিলেন বন দপ্তরের ওই আধিকারিক। ইতিমধ্যে ভিউ লাখ ছাড়িয়েছে। কমেন্ট বক্স উপচে পড়ছে জনতার মন্তব্যে। একজন লিখেছেন, “ওই ব্যক্তি জীবনকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছেন নিজেই।” এক ব্যক্তির প্রশ্ন, “জানতে চাই, জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় জঙ্গল ও মানুষের সম্পর্কের বিষয়ে কীভাবে সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত করা হচ্ছে।” সত্যিই তো, বার বার এমন কাণ্ড ঘটবে কেন?