সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব সময়ই তিনি চেয়েছিলেন দ্রুত খ্যাতি পেতে। আর তা করতে গিয়েই তাঁকে যেতে হয়েছিল জেলে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইরানের (Iran) তরুণী শাহর তাবর (তাঁর আসল নাম ফতেমা খিশভন্দ)। হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির (Angelina Jolie) মুখ বিকৃত করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই দুর্নীতি এবং নির্দিষ্ট ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ১০ বছরের কারাবাসের সাজা পান তিনি। কিন্তু বর্তমানে সেদেশে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন শাহর।
১৯ বছরের কিশোরী এখন ২১ বছরের তরুণী। মাঝের সময়টা কারাগারে অন্ধকারে থাকার পরে জীবনটাকে চিনতে পেরেছেন তিনি। বলছেন, ”মা সব সময় বলত এসব না করতে। কিন্তু আমি শুনিনি।” অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিকৃত মুখের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পরই সকলে বিস্মিত হয়েছিলেন। কিন্তু সত্য়িই কি ওইরকম চেহারা হয়েছে শাহরের?
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! বাড়িতে তৈরি চা পানের পরই উত্তরপ্রদেশে প্রাণ হারাল ২ শিশু-সহ পাঁচজন]
এতদিন পরে নিজের আসল মুখটি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরতে দিয়েছেন ইরানের তরুণী। সেই সঙ্গে জানাচ্ছেন, যে ছবি সামনে এসেছে তাতে চূড়ান্ত অতিরঞ্জন ছিল। তাঁর কথায়, ”আপনারা ইনস্টাগ্রামে যা দেখেছেন, তা ছিল কম্পিউটার এফেক্ট। এভাবেই আমি ছবিটা বিকৃত করেছিলাম।” শাহর জানাচ্ছেন, তিনি নাকে অপারেশন করিয়েছিলেন। পাশাপাশি ঠোঁটেও অপারেশন এমনকী মেদ ঝরাতে লাইপোসেকশনও করিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে তাঁর চেহারা ওইরকম হয়ে ওঠেনি যাতে শিউরে উঠতে হয়।
গত সেপ্টেম্বর থেকে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ইরান, সেই সময়ই জেলবন্দি অন্য মহিলাদের প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠে আসে। সমাজকর্মীদের দাবি ছিল, শাহর তাবরের বয়স মাত্র ১৯। কেবল রসিকতা করতে গিয়েই তাঁকে জেলে যেতে হয়েছে। মেয়ের দুঃখে চোখের জলে দিন কাটাচ্ছেন মা। এই নিরীহ মেয়েটির জন্য সকলকে সরব হতে বলেন তিনি। আলাদা করে ট্যাগ করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকেও। শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন শাহর। আর স্বীকার করে নিচ্ছেন, ইন্টারনেটের সুযোগে সহজে খ্যাতি পেয়ে গিয়ে কত বড় ভুল করে ফেলেছিলেন তিনি।