সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঁদুর কী কী খায় তা সবচেয়ে ভালো জানে লোকাল ট্রেনের হকাররা। ইঁদুর মারা বিষ বিক্রির প্রচারে তাঁরা জানান, 'কাগজ থেকে কাপড়, জমির দলিল থেকে পাঁপড়, বিভূতিভূষণের 'চাঁদের পাহাড়' হোক বা কৃত্তিবাসী রামায়ণ, গরিবের লুঙ্গি হোক কিংবা বড়লোকের গাউন, শিশুর কাঁথা হোক অথবা সুন্দরীর শাড়ি, খিদে পেলে ইঁদুর বলে সব খেতে পারি।' তাই বলে গাঁজা-ভাং খাবে গণেশের বাহন! এমনটা বিশ্বাস না হলেও মাদক সংক্রান্ত একটি মামলায় ভরা আদালতে এই দাবি করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। ব্যাপারটা কী?
গল্পের শুরু বছর চারেক আগে। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর গাঁজা এবং ভাং রাখার অভিযোগে শম্ভু অগরওয়াল নামে ধানবাদের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। একই অভিযোগ গ্রেপ্তার হন তাঁর পুত্রও। সেই সময় দুই অভিযুক্তের থেকে মোট ১০ কেজি গাঁজা এবং ৯ কেজি ভাং উদ্ধার হয়েছিল। প্রমাণ হিসেবে যা গুদামে রেখে দিয়েছিল পুলিশ। এখন তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বাজেয়াপ্ত মাদক হাপিস করেছে মূষিক প্রবর।
[আরও পড়ুন: রাতদুপুরে পানের দোকানে মহিলাদের ধূমপান দেখাই কাল, বেঘোরে প্রাণ গেল যুবকের!]
মাদক সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল ঝাড়খণ্ডের নিম্ন আদালতে। বিচারক তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জয়প্রকাশ প্রসাদকে বাজেয়াপ্ত গাজা ও ভাং আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে অপরাগ পুলিশ জানায়, ধর্মাবতার, বাজেয়াপ্ত সমস্ত গাঁজা এবং ভাং ইঁদুর খেয়ে নিয়েছে। এমনকী এই বিষয়ে আদালতে লিখিত একটি রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ বিভাগ।
[আরও পড়ুন: ‘ওয়াটার স্লাইড’ থেকে নামতেই শ্বাসকষ্ট, বন্ধুদের সঙ্গে বিনোদন পার্কে গিয়ে হঠাৎ মৃত্যু যুবকের]
এদিকে অভিযুক্ত শম্ভুলাল এবং তাঁর পুত্রের আইনজীবীর দাবি, পুলিশ আদৌ তাঁর মক্কলের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করেনি। তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে গাঁজা এবং ভাং কী করে ইঁদুরে খেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ধানবাদের পুলিশ সুপার। যদিও থানার গুদামে থাকা গাজা-ভাং-মদ ইঁদুরে খেয়ে ফেলার ঘটনা মাঝমাঝেই শোনা যায়। সর্ষের মধ্যে থাকা ভূতের হদিশ মেলে না হাজার তদন্তেও।