শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মাটির তৈরি কুঁড়েঘর! তাও আবার ভেঙে পড়েছে। একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থা। আর সেখানেই কিনা উদ্ধার বস্তা ভর্তি লক্ষ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ সালার থানার হামিদ হাটি পিলখুন্ডি গ্রামে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি নূর ইসলাম বলে একজনের। ভিক্ষা করেই চলে দিন। কথাও বলতে পারেন না। ভাঙা মাটির বাড়িতেই থাকেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় মানুষজন যা দেন তাতেই চলে দুবেলা খাওয়াদাওয়া। আজ শনিবার বাড়ির একাংশ একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। একেবারে বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠে সেটি। স্থানীয় মানুষজনই উদ্যোগ নেন ঘরটি মেরামতি করার। ডাকা হয় মিস্ত্রিকেও। কাজ শুরু হতেই একেবারে অবিশ্বাস্য ঘটনা। কাজে আসা কর্মীরা দেখেন বস্তায় বস্তায় রাখা রয়েছে টাকা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। এমন বাড়িতে এত টাকা! কীভাবে আসল?
শনিবার বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে।
সেই কৌতূহলের মধ্যেই শুরু হয় টাকা গোনার কাজ। দেখা যায়—প্রায় দুই লক্ষ টাকার কাছাকাছি নগদ অর্থ লুকিয়ে রেখেছিলেন ওই ভিক্ষুক। মানুষজন চাপ দিতেই নূর ইসলাম বোঝান, এটা তাঁর কষ্টার্জিত পয়সা। বছরের পর বছর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে যে ভিক্ষা করেছিলেন তা সবটাই জমিয়ে রাখেন বস্তায়। পরিবারের কেউ নেই। একাই থাকেন। ফলে জমানো টাকাতে হাতও পরেনি।
এদিকে খবর চাউর হতেই আশেপাশের গ্রাম থেকেও মানুষজন টাকার ভাণ্ডার দেখতে ছুটে আসেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া দু'লক্ষ টাকা নূর ইসলামের জন্য বাড়ি তৈরির কাজেই ব্যবহার করা হবে।
