সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। সেটাই আসল পরিচয় ভারতবর্ষের। আর সেই ছবিই আরও একবার সামনে এল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড় মন্দিরে। যেখানে হিন্দু যুবক হনুমান চালিশা পড়ে শোনাচ্ছেন মুসলিম তরুণদের। সে পাঠ মন দিয়ে শুনছেন প্রত্যেকে।
এই হিন্দু যুবক হলেন অখিল ভারতীয় হিন্দু সেনার জেলা সভাপতি শচীন ভর্মা। তিনিই মুসলিম তরুণ ও কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে বসে হনুমান চালিশা পড়ছেন। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি অখিল ভারতীয় হিন্দু সেনার জেলা সভাপতি। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে আমি হনুমান চালিশা পড়ার অনুরোধ করেছিল। সনাতন ধর্ম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ। কাউকেই এ ব্যাপারে জোর করা হয়নি। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের ইচ্ছাতেই হনুমান মন্দিরে বসে চালিশা পাঠ করছেন।” সেই সম্প্রীতির দৃশ্যই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এভাবেই বজায় থাক ঐক্য, প্রার্থনা করছেন নেটিজেনরা।
[আরও পড়ুন: ‘আসলে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, টাকা দুর্বল হচ্ছে না’, ভারতীয় মুদ্রার পতন নিয়ে সাফাই অর্থমন্ত্রীর]
ভিডিওটি ভাইরাল (Viral Video) হওয়ার পর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্নি থিওলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান মুফতি জাহিদ আলি খান। তিনি বলেন, “যে কেউ চাইলে হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারে। সেখানে জাতি-ধর্ম কোনও বাধা নয়। তবে অন্য় ধর্মের ব্যক্তিকে জোর করে এ কাজ করতে বললে তা নিশ্চিতভাবে সংবিধান বিরোধী।”
সাম্প্রতিক অতীতে বারবার দেশজুড়ে নানা ইস্যুতে সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর উঠে এসেছে শিরোনামে। তবে আলিগড়ের অন্য ছবি সকলের সামনে তুলে ধরলেন শচীন ভর্মা। তিনি জানাচ্ছেন, শুধু হনুমান চালিশা পাঠই নয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদের মুখে ‘বন্দেমাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও শোনা যায়। কিন্তু কোনওকিছুই বলপূর্বর করা হয় না। উল্লেখ্য, বারাণসীর এক মন্দিরে বসে বিদেশিদের হনুমান চালিশা পাঠের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। এবার আলিগড়ের ভিডিও নজর কেড়েছে নেটাগরিকদের।