shono
Advertisement
Rabbit

সত্যিকারের 'হাট্টিমাটিম টিম'! কলোরাডোয় তাক লাগাচ্ছে শিংওয়ালা খরগোশরা

ব্যাপারটা কী?
Published By: Biswadip DeyPosted: 05:29 PM Aug 15, 2025Updated: 05:29 PM Aug 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখলেই চমকে উঠতে হয়। এ যে ছড়ায় পড়া সেই 'হাট্টিমাটিম টিম'! ভাইরাল হয়ে গিয়েছে কলোরাডোয় ঘুরে বেড়ানো এই কিম্ভূতদর্শন প্রাণীদের ছবি। মুখময় শিংয়ের আধিক্য তাদের আলাদা করলেও আদপে এরা নিরীহ খরগোশ বই কিছু নয়। কটনটেল প্রজাতির এই খরগোশের এমন অবস্থার জন্য দায়ী প্যাপিলোমা ভাইরাস। ওই আদ্যপ্রাণীর সংক্রমণের কারণেই তাদের চেহারা এমন আকার ধারণ করেছে।

Advertisement

উত্তর আমেরিকার লোককথায় শিংওয়ালা খরগোশের উল্লেখ মেলে। ভাইরাসের কারণে সেটাই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এমনটা নতুন ঘটল তা নয়। গত একশো বছর ধরে এমন ভাইরাস আক্রান্ত খরগোশের দেখা মিলেছে।

কী এই শোপ প্যাপিলোমা ভাইরাস? বিজ্ঞানী রিচার্ড ই শোপের নামে এই নামকরণ করা হয়েছে। তিনিই গত শতকের তিনের দশকে খরগোশের শরীরে এই ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন। এই ভাইরাসের সংক্রমণেই আঁচিল গজিয়ে উঠছে শরীরে। তা দীর্ঘ হয়ে গেলে হয়ে যাচ্ছে শিংয়ের মতো। এটি অত্যন্ত সংক্রামক। ফলে একটি খরগোশ থেকে আরেকটিতে তা দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ভাইরাসের কারণেই মানবশরীরে পেলভিক ক্যানসারের মতো মারণরোগ হয়। ফলে এই প্রশ্ন জাগছে, এই সংক্রমণে কি আক্রান্ত হতে পারে অন্য প্রাণীরাও? কিংবা মানুষ? বিজ্ঞানীরা অবশ্য আশ্বস্ত করে জানাচ্ছেন, তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

খরগোশের শরীর থেকে অন্য শরীরে গেলেও তা মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীকে আক্রান্ত করতে পারছে না। এবং খরগোশের ক্ষেত্রেও শরীরে অনাক্রম্যতা তৈরি হয়ে গেলে সেই ভাইরাস গায়েবও হয়ে যাচ্ছে। এমনিতে অবশ্য এই শিংয়ে খরগোশের শরীরে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় না। তবে তা মুখের ভিতরে বেড়ে গেলে খাওয়ার সমস্যা তৈরি হলে তখন পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভাইরাল হয়ে গিয়েছে কলোরাডোয় ঘুরে বেড়ানো এই কিম্ভূতদর্শন প্রাণীদের ছবি।
  • মুখময় শিংয়ের আধিক্য তাদের আলাদা করলেও আদপে এরা নিরীহ খরগোশ বই কিছু নয়।
  • কটনটেল প্রজাতির এই খরগোশের এমন অবস্থার জন্য দায়ী প্যাপিলোমা ভাইরাস।
Advertisement