সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতা হল জনতার প্রতিনিধি। নেতাকে ভোটে জেতানোর প্রকৃত কারণ জনসেবা। যাঁরা ক্ষমতায় আনল তাঁদের দেখভাল করবেন নেতা, এমনটাই স্বাভাবিক। যদিও বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, সেই কাজে অবহেলা করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকেন অনেকেই।কালের নিয়মে অবশ্য একদিন গদিছাড়া হন ‘সর্বশক্তিমান’ নেতা। তথাপি যে অন্যায় করে চলেন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, তার সঠিক ‘শাস্তি’ মেলে কি? অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেলে না। কিন্তু ইটালির (Italy) এই শহর আলাদা। এখানে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ক’রে পার পান না নেতাজি। ভয়ংকর শাস্তির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কী সেই শাস্তি?
ইটালির ত্রেন্তো শহর। এখানেই জনতাকে ঠকানো নেতার জন্য কঠিন শাস্তি নিদান রয়েছে। দুষ্ঠু নেতাকে একটি লোহার খাঁচায় ভরা হয়। এরপর তাঁকে স্থানীয় নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। না, মৃত্যুদণ্ড নয়। খাঁচাবন্দি অবস্থায় নেতা খানিক হাবুডুবু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে জনতাই তাঁকে উদ্ধার করে। ত্রেন্তোর এহেন শাস্তিকে বলা হয় ‘তোনকা’।
[আরও পড়ুন: মেয়েরা যেন সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, ২৯ বছর পর ফের বিয়ে মুসলিম দম্পতির]
প্রতি বছর জুন মাসে ‘ভিজিলিয়ান’ উৎসব হয় শহরে। তারই একটি অংশ জনতার আদালতে ভণ্ড নেতার শাস্তির ব্যবস্থা। শুধু রাজনীতিবিদরাই এমন শাস্তির মুখে পড়েন না, স্থানীয় বিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রিয় শহরকে হেয় প্রতিপন্ন করলেও একই শাস্তি মুখে পড়তে হয় তাঁদেরও। ২০২২ সালে ২৬ জুনে এই শাস্তি পেতে হয়েছিল ত্রেন্তো’র ব্যর্থ নেতা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের। চলতি বছরে ২৫ জুন ‘তোনকা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ইটালির ছোট্ট শহরে। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘গুপি গায়েন বাঘা বায়েন’ ছবির এক দৃশ্যে ষড়যন্ত্রকারী মন্ত্রীর জন্য অভিনব শাস্তির কথা ভেবেছিল গুপি। বাঘাকে ক্যাকটাসের ঝোপ দেখিয়ে সে বলে, মন্ত্রী মশাইরে যদি এর উপর এনে ফেলা যায় না! ত্রেন্তোর শাস্তি দেখে অনেকেরই হয়তো কালজয়ী ছবির এই সংলাপ মনে পড়বে।