সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট আকৃতি তবু তিমি মাছ ‘দানব’ সম্বোধন পায়নি। এমনকী ভয়ংকর চরিত্রের হাঙরকেও পিছনে ফেলে দেবে এই মাছ। কারণ এবার সমুদ্রে হদিশ মিলেছে ‘রক্তচোষা দানবের’! ‘সি ল্যাম্প্রে’ (Sea Lamprey) প্রজাতির ভয় পাইয়ে দেওয়া চেহারার এই প্রাণীটির খোঁজ পেয়েছেন সমুদ্রবিজ্ঞানী জ্যাকো হ্যাভারম্যান্স। গত মাসে সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই দেখা পান দানবের! ‘দানব’ কেন?
চেহারা, স্বভাব দুই কারণে। কদাকার দেখতে মাছটির দৈর্ঘ্যে ৩ ফুট। মুখে হাঙরের মতো সারি সারি ধারালো দাঁত। নিচের চোয়ালে দাঁত নেই। সবক’টি দাঁত উপরের চোয়ালে। এতো গেলো চেহারা, স্বভাবে এরা রক্তচোষা। সাধারণত অন্য মাছের উপর হামলা করে রক্ত চুষে নেয়। অন্য মাছের দেহে নিজের জিভ আটকে দেয়। তার পর সেই মাছের শরীর থেকে রক্ত এবং তরল শুষে নেয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, একটি সি ল্যাম্প্রে প্রতি বছর এভাবেই ১৯ কিলোগ্রাম মাছ হত্যা করে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে গোরক্ষক বাহিনীর হাতে মুসলিম ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড: ধৃতের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে]
‘ফক্স ওয়েদার’ (Fox Weather) সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে নেদারল্যান্ডের (Netherlands) আমস্টারডমের (Amsterdam) ১০৪ কিমি উত্তরে এই মাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ৪০ কোটি বছর আগে ‘অগ্নাথা’ নামে মেরুদণ্ডী প্রাণীর বংশধর এই মাছ। তবে কোটি বছরের অভিযানে বদল এসেছে চেহারায়। সেই সময় মাছের দু’টি চোয়ালেই ধারালো দাঁত থাকত। এখন কেবল নিচের চোয়ালেই দাঁত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: নৃশংস, ডিজে’র মিউজিক বন্ধ করতে বলায় অন্তঃসত্ত্বাকে গুলি প্রতিবেশীর! নষ্ট ভ্রুণ]
ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোরস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানিয়েছে, সামুদ্রিক ল্যাম্প্রে এক ধরনের পরজীবী মাছ। উত্তর এবং পশ্চিম অতলান্তিক মহাসাগরে এদের দেখা মেলে। রক্তচোষা এই মাছগুলি ইলের মতো দেখতে। ফলে অনেক সময় ইল বলে ভুল করা হয়। তবে একবার দেখলে ভয় পেতে ভুল হবে না।