সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিস হোক বা বাড়ি কিংবা রাস্তা– ধূমপানের পর সিগারেটের পোড়া অংশ যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার অভ্যেস বেশিরভাগেরই। কোনও পান–বিড়ি–সিগারেটের দোকান কিংবা কোনও চায়ের দোকানের পাশে তাকালে এরকম সিগারেটের (Cigarette) অবশিষ্টাংশের স্তূপ পড়ে থাকতেও দেখবেন। শুধু দৃশ্য দূষণ নয়, পরিবেশ দূষণেরও কারণ এই জিনিসটি। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একটি সিগারেটের অবশিষ্ট অংশটি দশ বছর পর্যন্ত মাটিতে মিশলে নষ্ট হবে না।
[আরও পড়ুন: OMG! মেজাজ হারিয়ে কর্মচারীর আঙুলই কামড়ে ছিঁড়ে নিল মালিক!]
কিন্তু জানেন কী, নমন গুপ্ত (Naman Gupta) নামে এক ভারতীয় যুবকের তৈরি করা সংস্থা এই সিগারেটের অবশিষ্টাংশগুলোকেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। তারপর তা থেকে বালিশ, চাবির রিং–সহ আরও অনেক কিছু তৈরি করে। ওই সংস্থার তৈরি জিনিসের চাহিদাও কিন্তু রয়েছে গোটা দেশজুড়ে। একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ কমাচ্ছেন, অন্যদিকে ব্যবসায়িক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: করোনায় বিয়ে বাড়ি ভরাতে অভিনব উদ্যোগ, অতিথিদের কাট আউট বানিয়ে তাক লাগালেন দম্পতি]
কিন্তু কেন কীভাবে এরকম ভাবনা এল মাথায়? এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নমন বলেন, ‘‘কলেজে পড়ার সময় যখন পিজিতে থাকতাম, তখন দেখতাম, বন্ধু কিংবা রুমমেটরা সিগারেট খেয়ে যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে। কলেজে কিংবা অন্যান্য জায়গাতেও একই ছবি। এরপর একদিন গুগল থেকে জানতে পারি, দশ বছরেও সিগারেটের এই অবশিষ্টাংশে পচন ধরে না। কারণ কাগজের ভিতরে থাকা পলিমার বা ফাইবারের তৈরি ফিল্টারটি। সেটির জন্যই মাটিতে মিশলেও পচন ধরতে অন্তত দশ বছর লাগে। এরপর প্রায় চারমাস এটি নিয়ে পড়াশোনা করি। তখনই এই ভাবনা আসে।’’
এরপর ২০১৮ সালে কোড এফোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড (Code Effort Private Limited) নামে সংস্থাটি তৈরি করেন নমন। ইতিমধ্যে ৩০০ মিলিয়ন সিগারেটের অবশিষ্টাংশকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করেছে কোম্পানিটি। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে এই খবর। নমনের এই কাজের প্রশংসাও করেছেন নেটিজেনরা।
The post সিগারেটের বাট দিয়ে বালিশ-চাবির রিং বানিয়ে তাক লাগালেন ভারতীয় যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.