সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, রাখে হরি তো মারে কে? সেই আপ্তবাক্যই যেন কঠোর বাস্তবের মাটিতে আবার সত্যি প্রমাণিত হল। মাত্র তিন বছরের খুদে (Baby) এবং কয়েকজন চিকিৎসক তা প্রমাণ করে ছাড়লেন। কীভাবে নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে, তাই তো? চলুন তবে গোটা ঘটনা খোলসা করা যাক।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বছর তিনেকের খুদে বাবা-মার সঙ্গে থাকে। সন্তান খেলা করছে। সেই ফাঁকে কাজ সেরে নেওয়া বোধহয় প্রত্যেক মায়েরই ধর্ম। এই খুদের মা-ও তার ব্যতিক্রম নন। কিন্তু আচমকাই ঘটল বিপত্তি। মা নজর সরাতেই খেলার ছলে চার সেন্টিমিটারের গণেশের মূর্তি (Ganesha Idol) খেয়ে ফেলল খুদে। তারপর থেকেই গলার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। জুড়ে দেয় কান্না। সন্তানকে এমন কান্নাকাটি করতে দেখে মা দিশাহারা হয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে বুঝতে পারেন গণেশের মূর্তি খেয়ে ফেলেছে ছেলে। এক মিনিটও নষ্ট করেননি তিনি। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সোজা স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে যান। চিকিৎসকদের পুরো ঘটনাটি জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: পণে কচ্ছপ ও বিদেশি কুকুর চাওয়ায় বিপাকে বরপক্ষ, থানায় দায়ের অভিযোগ]
শিশুর মায়ের কথা শুনে কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা (Doctor)। তবে তারপরই শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতা। বুক এবং গলার এক্স-রে করানো হয়। তাতেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুর খাদ্যনালীতে একটি ধাতব কোনও বস্তু আটকে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করে গণেশের মূর্তিটিকে বের করা হয় বলেই জানান চিকিৎসক শ্রীকান্ত কেপি।
ঘণ্টাচারেক চিকিৎসকরা ওই খুদেকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। সে নিজে থেকে খেতে পারছে কিনা, তা দেখা যায়। পরে যদিও চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন তার গলার ব্যথা ধীরে ধীরে কমছে। খেতেও পারছে। তারপরই খুদেকে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে সে। তবে সময়মতো ওই খুদেকে হাসপাতালে নিয়ে না আসা হলে, বিপদ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারত বলেই মত চিকিৎসকদের। এহেন বিপদ এড়াতে তাই বাড়ির খুদে সদস্যের উপর নজর রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের।