সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাফজান্তারা সাধারণত সব জান্তা! যেমন এই ব্যক্তি। খুব সম্ভব ওঁর জানা ছিল, চোখ ঢেকে দিলেই হল, এর পর যে কোনও প্রাণীকে কাবু করা সম্ভব। ফলে জামা দিয়ে প্রমাণ সাইজের কুমিরের (Crocodile) চোখ ঢেকে দেন তিনি। এর পর তাকে জাপটে ধরে বাগে আনার চেষ্ঠা করেন। একাজে পৈতৃক প্রাণ খোয়াতে বসেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়েছে সেই ভয়ংকর ভিডিও। যা দেখে চমকে উঠছে নেটিজেনরা। তবে সকলের বক্তব্য, যেমন কর্ম তেমন ফল। নেহাত ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছেন প্রবীণ। ঠিক কী ঘটেছিল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখা গিয়েছে, বাগানের লম্বা গর্তে একটি পূর্ণ বয়স্ক কুমির। একজন প্রবীণ ব্যক্তি ওস্তাদি করে কুমিরটির চোখের উপরে একটি সাদা রঙের জামা ছুঁড়ে ফেলেন। এতে কুমিরটি অস্বস্তি প্রকাশ করলেও আক্রমণ করেনি। এর পর প্রবীণ ব্যক্তি কুমিরটির দুই পাশে দুই পা দিয়ে জাপটে ধরে সেটিকে বাগে আনার চেষ্টা করেন। তখনই দেখা যায় বিপজ্জনক দৃশ্য। পিছন ঘুরে ওই ব্যক্তির হাত কামড়ে ধরে কুমিরটি। চমকে উঠে পালাতে গিয়ে পড়ে যান প্রবীণ। ওই সময় কুমিরের মুখের ভিতরে ছিল প্রবীণের হাত।
[আরও পড়ুন: প্রতি মাসে অন্তত ১৬ লক্ষ চাকরি দিচ্ছে কেন্দ্র! রেলমন্ত্রীর দাবিতে শোরগোল]
শেষ পর্যন্ত অবশ্য করুণা করে প্রবীণ অব্যহতি দেয় কুমিরটি। নচেত শরীরের কোনও একটি অঙ্গ, এমনকী প্রাণও যেতে পারত ওই ব্যক্তির। ভাগ্যের জোরে তেমনটা ঘটেনি। তবে এমন ঘটনার ভিডিও হুড়মুড় করে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকলেই ভিডিও দেখে ভয়ে আঁতকে উঠছেন। প্রবীণ যে দুনিয়ার অন্যতম বিপজ্জনক প্রাণীর কুমিরের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়ে ঠিক কাজ করেননি, মত সকলেরই।
[আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভে থমকে আদানির স্বপ্নের বন্দরের নির্মাণ, বাড়ছে উত্তেজনা]
ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেন। এক নেটিজেনের বক্তব্য, মুর্খের মতো কাজ করেছেন প্রবীণ। এভাবে কুমিরকে বাগে আনা অসম্ভব। এক নেটিজেনের মন্তব্য, ওই ব্যক্তি নেহাত ভাগ্যবান, ওর হাত বা পা ছিঁড়ে খায়নি প্রাণীটি। অধিকাংশ মানুষ বলেছেন, এই ঘটনায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া বন্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণ করা আত্মহত্যা করা প্রায় সমার্থক।