সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে!” এটুকুই মনস্কামনা থাকে বাবা-মায়ের। এমনিতে নিঃস্বার্থ ভালবাসার স্থান নেই পৃথিবীতে। ব্যতিক্রম বাপ-মায়ের স্নেহ। বিনিময়ে কিছুই চান না তাঁরা। বরং নিজেদের ইচ্ছে-অনিচ্ছে তুচ্ছ করে সন্তানের শখ-আহ্লাদ পূর্ণ করাই হয়ে ওঠে ব্রত। বড় হয়ে সেই সন্তান যদি হাতে করে উপহার নিয়ে আসে, সেই ভাল লাগা ভাষায় ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। অনির্বচনীয় সেই অনুভূতি। তেমন এক মুহূর্তের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল (Video Viral) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যা দেখে চোখ ছলছল করে উঠেছে নেটিজেনদের।
টুইটারে (Tweeter) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে এক মা ও তাঁর ছেলেকে। ঘরোয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ছেলের হাতে একটি সোনার চেন। তিনি হাসি মুখে মায়ের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মা অবশ্য তা জানেন না। তিনি মেঝেয় বসে পরিবারের সকলের জন্য থালায় ভাত বাড়ছেন। এরপরেই সেই ক্ষণ আসে যখন পিছন থেকে মায়ের গলায় সোনার হার পরিয়ে দেন ছেলে। ঘটনার অভিঘাতে চমকে যান মা। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন সোনার হার ও ক্যামেরার দিকে।
[আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যমে ‘উদার’, ‘নারীবাদী’ আফতাব, মুখোশ খুলল দিল্লিতে তরুণীকে নৃশংস হত্যার পর!]
৪০ সেকেন্ডের ভিডিওর ক্যাপশানে লেখা ‘মায়ের জন্য ছোট্ট উপহার’। ভিডিওটি ভারতের কোন অঞ্চলের, মা ও ছেলের পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। ‘জিন্দেগি গুলজার হ্যায়’ নামের একটি টুইটার প্রোফাইল থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যা নিমেষে ভাইরাল হয়। মা-ছেলের ভিডিও দেখে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়ে নেটদুনিয়া। ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ ভিউ হয়েছে ভিডিওটির। কমেন্ট বক্সে ভরে গিয়েছে নেটিজেনদের মন্তব্যের বন্যায়। অনেকেই মায়ের জন্য উপহার আনা সন্তানকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এক নেটিজেনের মন্তব্য, সন্তান হলে এমনই হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ‘কেন টেন্ডার না ডেকেই চুক্তি?’ মোরবির সেতু বিপর্যয় মামলায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনা পুর প্রশাসনকে]
ক’দিন আগে মায়ের প্রতি ছেলের ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের বক্তব্য, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়ে নিজের ইচ্ছেয় বাড়ি ছাড়তেই পারেন। কিন্তু যে মা তাঁকে দশ মাস-দশ দিন গর্ভে ধারণ করেছেন, স্নেহচ্ছায়া দিয়ে বড় করেছেন, সব বিপদ থেকে আগলে রেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সন্তানের দুর্ব্যবহার কখনওই কাম্য নয়, সে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন। ঘরছাড়া এক সমকামী তরুণীর সন্ধান সংক্রান্ত মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ ছিল কলকাতা হাই কোর্টের।