সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'জব উই মেট' ছবির গীতকে (করিনা কপুর) মনে আছে? বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছিল সে। সেই সময় ট্রেনে দেখা হয় আদিত্যর (শাহিদ কাপুর) সঙ্গে। সিনেমায় পরের ঘটনাপ্রবাহ প্রায় সকলেরই জানা। বাস্তবে ঠিক যেন তেমনটাই ঘটল! বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রেমিক আসেননি। ট্রেনেই দেখা প্রাক্তনের সঙ্গে। শেষে একদা 'এক্সে'র নামেরই সিঁদুর সিঁথিতে পরলেন যুবতী। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রতলাম শহরের।
মধ্যপ্রদেশের বিবিএ-র শেষবর্ষের ছাত্রী শ্রদ্ধা তিওয়ারি। ২৩ আগস্ট রাতে বাড়ি ছাড়েন তিনি। ইচ্ছা ছিল প্রেমিক সার্থকের সঙ্গে বিয়ে করবেন। পরিকল্পনা মতো নির্দিষ্ট ট্রেনে চেপে বসেন। তবে প্রেমিক আসেননি। কিন্তু এখানেই অন্য কথা লিখে রেখেছিলেন ভাগ্য দেবতা! একই কামরাতে হঠাৎ দেখা স্থানীয় একটি স্কুলের ইলেকট্রেশিয়ান প্রাক্তন প্রেমিক করণদীপের সঙ্গে। একসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ যাত্রার পর তাঁরা ঠিক করেন বিয়ে করবেন। বাড়ি ফিরেও আসেন ৭ দিন পর।
এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে মেয়ে না ফেরায় থানার নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন শ্রদ্ধার বাবা অনিল তিওয়ারি। খোঁজাখুঁজির মধ্যেই বাবাকে ফোন করে বিয়ের কথা জানান যুবতী। এরপরই চলে যান ইন্দোর থানায়। শ্রদ্ধা পুলিশকে জানিয়েছেন, মান্দসৌরে নেমে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে মহেশ্বরে যান। যেখানে একটি মন্দিরে তিনি ও করণদীপ বিয়ে করেন। সেখান থেকেই সরাসরি ইন্দোর থানায়।
এদিকে নিখোঁজ মামলার তদন্তে নেমে শ্রদ্ধার প্রেমিক সার্থককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যুবক চাঞ্চল্যকর দাবি করে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন আগে থেকে শ্রদ্ধার যোগাযোগ নেই। তাই পুলিশ গোটা ঘটনাটি বিশ্বাস করতে রাজি নয়। শ্রদ্ধার কাছে বিয়ের প্রমাণ চেয়েছেন তদন্তকারীরা।
শ্রদ্ধার বাবা অনিল তিওয়ারি বলেন, "শ্রদ্ধা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ওকে ফেরার জন্য টাকা পাঠিয়েছি। ও করণদীপের সঙ্গেই থাকবে বলে স্থির করেছে। কিন্তু আমি এই বিয়ে মেনে নিচ্ছি না।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "আমার মেয়ের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। আমি করণদীপের সঙ্গে কথা বলেছি। ও আমাকে জানিয়েছে, শ্রদ্ধা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, তখন ও গিয়ে বাঁচিয়েছে মাত্র।"
