সুমন করাতি, হুগলি: অর্জুন সিং-সোমনাথ শ্যামের পর মনোরঞ্জন ব্যাপারী বনাম রুনা খাতুন। তৃণমূল বনাম তৃণমূল সংঘাতে এবার উত্তপ্ত হুগলির বলাগড়। প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশের পরই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। ‘এবার খেলা জমবে’, পালটা রুনাকে হুঁশিয়ারি মনোরঞ্জনের।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে হুগলির বলাকা বিধানসভার জিরাট হাসপাতালে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলেই অভিযোগ। ব্যাপারীর দাবি, কার্যালয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় বলাগড়ের জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনকে দায়ী করেছেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দেন ব্যাপারী। তিনি লেখেন, “আমি এখন কলকাতায়। খবর পাওয়া গিয়েছে রুনা খাতুন নাকি তার দলবল পাঠিয়ে আমার বিধায়ক কার্যালয় ভাঙচুর করছে। এবার আমার পালটা দেওয়ার সময়। আসছি আমি বলাগড়ে। এবার খেলা জমে যাবে।” যদিও এই পোস্টের পালটা রুনার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: মদ বিক্রিতে পুজোর রেকর্ডও ভেঙে দিল বর্ষবরণ, অঙ্কটা জানলে চমকে যাবেন]
উল্লেখ্য, বুধবার সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দাবি করেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। দীর্ঘ একটি পোস্টে রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রুনাকে ‘ফুলন দেবী’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, রুনা ২০-২৫জন শার্প শুটার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। যেকোনও মুহূর্তে রুনা তাঁকে ‘মাটিতে পুঁতে দিতে’ পারে বলেও দাবি করেন। প্রাণনাশের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। প্রয়োজনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও সোশাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেন তিনি।
এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা তোপ দাগেন রুনা। মামলা লড়ার প্রয়োজনে বিধায়ককে আর্থিক সাহায্য করার কথাও বলেন। বাক তরজার মাঝে বিধায়কের কার্যালয়ে তাণ্ডবের ঘটনাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরমে পৌঁছেছে, তারই প্রমাণ বলাগড়ের মনোরঞ্জন বনাম রুনার দ্বৈরথ।
দেখুন ভিডিও: