অর্ণব আইচ: মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। তার মাঝেই শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বচসার জেরে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। তবে এই কাজের পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে নিজেকেও শেষ করে দিল আততায়ী। সোমবার বিকেলে ফুলবাগান থানা এলাকার একটি আবাসনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে নেমেছে ফুলবাগান থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ফুলবাগানের রামকৃষ্ণ সমাধি রোডের একটি আবাসনে থাকতেন বছর সত্তরের সুভাষ ধান্ধানিয়া এবং তাঁর স্ত্রী ললিতা। মেয়ে শিল্পীর সঙ্গে অমিত আগরওয়ালের বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে তেমন বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়। বছর দুই ধরে সেই মামলা চলছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের গাফিলতিতেই পরিযায়ীরা কেন্দ্রের সাহায্য থেকে বঞ্চিত, সাফাই দিলেন দিলীপ ঘোষ]
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আচমকাই ধান্ধানিয়াদের ফ্ল্যাটে হাজির হয় বছর বিয়াল্লিশের অমিত আগরওয়াল। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে অমিত। বচসা শুরু হয়। জামাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন ললিতাদেবী। কিন্তু লাভ হয় না তাতে। উলটে বন্দুক বের করে ললিতাদেবীকে খুব কাছে গুলি করে অমিত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এত দ্রুত গোটা ঘটনাটা ঘটে যায় যে অমিতের শ্বশুর সুভাষ ধান্ধানিয়া ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি অমিতের ত্রিসীমানা থেকে পালিয়ে পাশের ফ্ল্যাটে আশ্রয় নেন। প্রতিবেশীরাই খবর পাঠান ফুলবাগান থানায়।
[আরও পড়ুন: মিলছে না রাজ্যের কোনও সাহায্য, মিশনারি ধাঁচে বেসরকারি হতে চায় মিল্লি আল-আমিন কলেজ]
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, সুভাষ ধান্ধানিয়ার ফ্ল্যাটে রক্তের স্রোত। সেখানেই পড়ে রয়েছে অমিত। পাশে তার আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশের ধারণা, শাশুড়িকে গুলি করার পর আত্মঘাতী হয়েছে জামাই। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে ধান্ধানিয়ার মেয়ে শিল্পীর খোঁজ করছে পুলিশ। গোটা ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ আছে কি না, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
The post ডিভোর্সের মামলা নিয়ে বচসা, রাগের মাথায় শাশুড়িকে গুলি করে আত্মঘাতী যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.