অর্ক দে , বর্ধমান: বাড়ি ছাড়া হয়েছেন প্রায় এক বছর আগে। রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে সাইকেল নিয়ে গোটা দেশ ঘুরছেন হুগলির প্রৌঢ়। বুধবার তিনি পৌঁছলেন বর্ধমানে।
হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি থানার অন্তর্গত চাঁপদানির বাসিন্দা জয়দেব রাউত। বয়স প্রায় ৫৩ বছর। সাধারণ মানুষের মধ্যে রক্তদানের উৎসাহ ছড়িয়ে দিতে সাইকেলে নিয়ে ভারত ভ্রমনে বের হন তিনি। ২০২২ সালে ৪ সেপ্টেম্বর তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে ৩৩০ টি দিন। আর মধ্যে তিনি ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীরের কিছু অংশ, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র ,ছত্রিশগড়, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কন্যাকুমারী, অন্ধ্রপ্রদেশ ঘুরে সবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঘুরে বুধবার তিনি পৌঁছন পূর্ব বর্ধমানে। এই যাত্রা পথে প্রায় ২১০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন তিনি। সমস্ত প্রদেশের মানুষকে একটিই বার্তা দিয়ে বেড়িয়েছেন, তা হল রক্তদানের মতো মহৎ কাজ আর নেই।
[আরও পড়ুন: ‘যা প্রতিবাদ করার রাজভবনের ভিতরে করুন’, ধরনা হুঁশিয়ারির পর মমতাকে পালটা রাজ্যপালের]
বুধবার বর্ধমানে পৌঁছলে বর্ধমানের বড়শুল কিশোর সংঘের তরফে সম্বর্ধনা জানানো হয় তাঁকে। ক্লাবের সদস্য পার্থবাবু জানান, সমাজকে একটা একটা সুস্থতার বার্তা দিতে জয়দীপবাবু এই সাইকেলে ভারত ভ্রমন। রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করতেই এই পরিশ্রম। অনুপ্রেরণা রক্তদান ইন্ডিয়া’র সম্পাদক কবি ঘোষ বলেন, “জয়দেব রাউত আমাদের রক্তদান প্রসারের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডার। সারা দেশে ৩৩০ দিন ধরে একনাগাড়ে সাইকেল করে ১৯টি রাজ্যে প্রচার করে নজির স্থাপন করেছেন। দেশের ও রাজ্যের সরকারের কাছে জয়দেব রাউতকে সম্মানিত করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।” জয়দেববাবু বলেন, “দীর্ঘ এক বছরের যাত্রা পথে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনিক পদাধিকারিক ব্যক্তিগন,স্বাস্থ্যদপ্তর, স্কুল – কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন ক্লাব ও এনজিও যেভাবে সম্মানিত ও সহযোগিতা করেছে তাতে আমি আরও বেশি উৎসাহ পেয়েছি।”