সুমন করাতি, হুগলি: লতাপাতায় ঢেকেছে দেওয়াল। এদিক ওদিক ভগ্নপ্রায়। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগই যেন এথন ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর। ওই সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ শুধু মশাই নয়, ক্রমশ সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। অবিলম্বে হুগলির ওল্ড জিটি রোডে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ভাঙাচোরা হাসপাতাল সম্প্রসারণের দাবি তুলছেন তাঁরা।
উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিপরীতে হাসপাতালের পূর্বতন বহির্বিভাগ। গত কয়েক বছর আগেও উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পূর্বতন বহির্বিভাগে ভিড় জমাতেন রোগীরা। সেটি বন্ধ করে বহির্বিভাগ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সামনে। দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে জরাজীর্ণ দশা জিটি রোড ও অমরেন্দ্র সরণির সংযোগস্থলের ভবনটির। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত বাড়লেই সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে ওঠে ওই হাসপাতাল চত্বর। শুধু তাই নয়, যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা। স্থানীয়দের দাবি, ক্রমশ মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে জঞ্জালে পরিপূর্ণ হাসপাতাল চত্বর।
[আরও পড়ুন: ‘সবকো সন্মতি দে ভগবান’, নাম না করে ‘দিল্লি চলো’ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্যপালের]
উত্তরপাড়া পুরসভা সূত্রে খবর, ওই ভবনটি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীনে। ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে একটি বিকল্প নার্সিং স্কুল গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ভবন পরিষ্কার করার উদ্যোগ গত বছর নেওয়া হয়েছিল। তবে স্বাস্থ্যদপ্তর এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, “ভবনটি পুরসভার নয়। নির্দিষ্ট দপ্তর সংস্কার করবে।” যদিও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা, চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষের দাবি, এই ভবনটিতে নার্সিং স্কুল কিংবা ব্লাডব্যাঙ্কে তৈরি হোক।