সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার বিক্ষোভ। অনড় মনোভাব সরকার-বিরোধী দুই শিবিরেরই। যার জেরে সংসদে টানা ‘অচলাবস্থা’। এই পরিস্থিতিতে অখুশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। নজিরবিহীনভাবে আপাতত লোকসভার অধিবেশনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
চলতি বাদল অধিবেশনে এ পর্যন্ত সেভাবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই প্রথম দিন থেকে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিরোধীরা। যার জেরে কোনও বিল নিয়ে কোনওরকম আলোচনাই হচ্ছে না। সরকারপক্ষ কার্যত একপাক্ষিকভাবেই নিজেদের মতো বিল পাশ করাচ্ছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে তিনি উদ্যোগীও হয়েছিলেন। নিজের উদ্যোগে সরকার-বিরোধী দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু তাতেও ‘অচলাবস্থা’ কাটেনি।
[আরও পড়ুন: চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু! কী কী কর্মসূচি থাকছে?]
সূত্রের দাবি, সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সাংসদদের এই অনড় মনোভাবে বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ স্পিকার। ক্ষোভে এবং অসন্তোষে আপাতত সংসদের কাজকর্ম পরিচালনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ডেপুটি স্পিকাররা অধিবেশন সামলাবেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বুধবারও স্পিকার ওম বিড়লাকে লোকসভায় দেখা যায়নি। এভাবে সাংসদদের উপর বিরক্ত হয়ে খোদ স্পিকারের অধিবেশন ‘বয়কট’ করাটা ভারতীয় রাজনীতিতে বিরল।
[আরও পড়ুন: প্রতিহিংসার রাজনীতি! কংগ্রেস বিধায়কের হস্টেলের বিদ্যুৎ কাটল ত্রিপুরা সরকার, বন্ধ জলও]
সংবাদসংস্থা ANI সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার বিল পাশ হওয়ার সময় একইসঙ্গে বিরোধী শিবির এবং ট্রেজারি বেঞ্চ দুই শিবিরের আচরণেই মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন স্পিকার। তিনি মনে করছেন, সরকার এবং বিরোধী দুই শিবিরেরই স্পিকারের পদের প্রতি আরও সম্মান প্রদর্শন করা উচিত ছিল। স্পিকার যে সাংসদদের আচরণে অসন্তুষ্ট সেটা দুই শিবিরকেই জানিয়ে দেওয়া বলে খবর।