সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কটাদিন, তারপর মুক্তি…। করোনা (Coronavirus) সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ব্রিটেন। বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) ঘোষণা করেছেন, সে দেশে ওমিক্রনের আতঙ্কের সর্বোচ্চ পর্যায় পেরিয়ে গিয়েছে। তাই গতমাসে নতুন করে যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই সেসব প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
বরিস জানিয়ে দিয়েছেন, এতদিন ধরে যে সামাজিক দূরত্ববিধির যন্ত্রণা ব্রিটেনবাসীকে সহ্য করতে আসছিল,সেসব থেকেও এবার মুক্তি মিলবে। চলতি সপ্তাহ থেকেই আর ব্রিটেনবাসীকে পরতে হবে না মাস্ক। সামাজিক জমায়েত বা বার-রেস্তরাঁ কিংবা নাইট ক্লাবে যেতে হলে আর প্রয়োজন নেই কোভিড পাসের (COVID Pass)। বুধবার বরিসের ঘোষণার সময় থেকেই ব্রিটেনে আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাধ্যতামূলক নয়। কাজের জন্য বা বিনোদনের জন্য বাড়ির বাইরে বেরনোতেও আর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। এর আগে স্পেনও ব্রিটেনের মতো সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ইউরোপের দুটি দেশে কোনওরকম কোভিডবিধি মানতে হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকের ঋণ না মেটানোর জের, এবার লন্ডনের বাড়ি থেকেও বিতাড়িত হচ্ছেন বিজয় মালিয়া!]
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিসের দাবি, সরকারের বুস্টার ডোজ কর্মসূচির সাফল্যের জন্যই আজ সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের দাবি, সেদেশে করোনা সংক্রমণ ইতিমধ্যেই পিক অর্থাৎ সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায় পেরিয়ে এসেছে। গত কয়েক সপ্তাহ লাগাতার সংক্রমণ কমছে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্যাতন থেকে আমাদের বাঁচান, মোদিকে কাতর আরজি PoK কাশ্মীরের বাসিন্দার]
যদিও, ব্রিটেন যখন এই সমস্ত বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করছে তখনও সেদেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর চাপও চরমে। তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত? অনেকে বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা। লকডাউন চলাকালীন সদলবলে পার্টি করা নিয়ে যে বিতর্কে তিনি জড়িয়েছেন, তাতে জনসনের গদি টলমল। তাই নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাঁচাতে সব বিধিনিষেধই তুলে দিতে চাইছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।