ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আগের যে কোনও স্ট্রেনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron)। আমার, আপনার শরীরেও যে কোনও সময় তা বাসা বাঁধতে পারে। কীভাবে চটজলদি তা বুঝবেন? জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হলে, তার ফলাফল হাতে পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। তাই কেউ ওমিক্রনে সংক্রমিত কি না, তা বুঝতে নতুন এক পরীক্ষা চালু হচ্ছে রাজ্যে। এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের এক শীর্ষ স্বাস্থ্য অধিকর্তা। যার মাধ্যমে প্রাথমিক ইঙ্গিত মিলতে পারে, আপনি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না।
পরীক্ষার নাম – ‘এস জিন টার্গেট ফেইলিওর টেস্ট’। ওমিক্রন আমার, আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, তা সহজেই বোঝা যাবে এই স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যমে। জিনোম সিকেয়োন্সিংয়ের (Genom Sequencing) আগে এই পরীক্ষাতেই ইঙ্গিত মিলবে, ওমিক্রন শরীরে ছড়িয়েছে কি না। ‘এস জিন টার্গেট ফেইলিওর টেস্ট’ পরীক্ষা এ রাজ্যে চালু করতে চলেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রথমে কলকাতায়, তারপর গোটা রাজ্যেই এই পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে দ্রুত ওমিক্রন চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্যমহল।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার টান? ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে উধাও পিংলার গৃহবধূ, ঘনাচ্ছে রহস্য]
এর আগে কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, কলকাতায় পজিটিভিটি রেট বাড়ছে। তাই ভাইরাল লোড বা সিটি ভ্যালু ৩০ বা তার কম হলেই রোগীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে। কারণ, এক্ষেত্রে রোগীর শরীরে ওমিক্রন থাকতে পারে, এমনই আশঙ্কা করা হয়। স্বাস্থ্যদপ্তরও পরিসংখ্যান দেখেশুনে এই কথা মেনে নেয়।
[আরও পড়ুন: বড়দিনের আগেই উধাও জাঁকিয়ে শীত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাড়ল তাপমাত্রা]
কিন্তু যত বেশি সংখ্যক মানুষের জিনোম সিকোয়েন্সিং হবে, সরকারের খরচ বাড়বে এবং রিপোর্ট পেতে সময়ও বেশি লাগবে। তাই প্রাথমিকভাবে ‘এস জিন টার্গেট ফেইলিওর টেস্ট’ চালু করার কথা জানিয়েছেন শীর্ষ স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তাঁর কথায়, ”রাজ্যে বড়দিনের প্রাক্কালে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নাগরিকদের সুরক্ষায়। করোনা রুখতে ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নেওয়া থাকলে তবেই জমায়েত করুন। তৃস্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আনন্দ করুন, তবে সতর্কতা বজায় রেখে।”