সুব্রত বিশ্বাস: নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমালোচনামূলক’ দাবি মেনে নিল কেন্দ্র। এমনকী তা কার্যকরও করল। পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলায় সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, উপদ্রুত অঞ্চলে সিআরপিএফ জওয়ানদের কেন বিমানে পাঠানো হল না? যদি হত, তবে এই মৃত্যু ঘটত না। এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সিআরপিএফ-সহ, বিএসএফ কেন্দ্রীয় বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরের উপদ্রুত অঞ্চলে ‘অন ডিউটি’ অবস্থায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় বিমানের ভাড়া পাবেন।
[ আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম একটিমাত্র আসন, নারীর জন্য ইভিএম ব্রাত্য ছত্তিশগড়ে ]
সিআরপিএফ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছিলেন আরপিএফ ও আরপিএসএফ-এর মতো আধা সামরিক বাহিনীর কর্মীদের নিয়েও। কারণ, এই দুই বাহিনীর কর্মীরাও জম্মু ও কাশ্মীরের উপদ্রুত অঞ্চলে ‘ডিউটি’ করেন। তাঁদেরও কর্তব্যরত অবস্থায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয় প্রাণ হাতে নিয়েই। কিন্তু তাঁরাও এই সুবিধা পান না। তাঁদের প্রতি এই বৈষম্য কেন, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরই আরপিএফ ও আরপিএসএফ জওয়ানদের জম্মু-কাশ্মীরে ‘অন ডিউটি মুভমেন্টে’ বিমান ভাড়া দেওয়ার নির্দেশ নেয় কেন্দ্র। গত ১ এপ্রিল রেলের অর্থ দপ্তর রেলের জিএমদের এই নির্দেশ জারি করেন।
জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন অঞ্চলে সাত কোম্পানির আরপিএফ ও আরপিএসএফ কর্মীরা কর্তব্যরত অবস্থায় আছেন। ওই অঞ্চলে ট্রেন চলাচলে এঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু’বার রেলমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আরপিএফ ও আরপিএসএফের কাজকর্ম সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার পরই আর বিলম্ব করেনি কেন্দ্র। নির্বাচনের আগেই এই ঘোষণায় খুশি আরপিএফ ও আরপিএসএফ মহল।
[ আরও পড়ুন: বিরোধী মানেই দেশদ্রোহী নয়, ঘুরিয়ে বিজেপিকে সহিষ্ণুতার বার্তা দিলেন লৌহপুরুষ ]
লোকসভা নির্বাচনে এবার পঁচাত্তর কোম্পানি আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। আরপিএফের ডিজি অরুণকুমার বলেন, “গত বছর নির্বাচনে নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এ জন্য এবার আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ও বিহারের নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন হবে।”
The post ‘অন ডিউটি’ আরপিএফ জওয়ানরা পাবেন বিমান ভাড়া, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের appeared first on Sangbad Pratidin.