সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষার সাফল্যকে উদযাপন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৯৮-তে আজকের দিনে পোখরানে সাফল্যের সঙ্গে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করেন দেশের বৈজ্ঞানিকরা। সেই সব বৈজ্ঞানিকদেরও ভূয়সী প্রশংসা এদিন শোনা গিয়েছে মোদির গলায়।
প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর টুইটে লিখেছেন, “জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানাই, বিশেষত দেশের মেধাবী বিজ্ঞানী ও যাঁরা প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহী, তাঁদের।” তিনি আরও লেখেন, “১৯৮৮-তে পোখরানে ভারত যে সাহস দেখিয়েছিল, তার জন্য বৈজ্ঞানিক ও তৎকালীন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ।” প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ থেকে প্রতি বছরের ১১ মে দেশজুড়ে ‘ন্যাশনাল টেকনোলজি ডে’ পালিত হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের সাফল্য, মেধা ও জ্ঞান অন্বেষণকে স্মরণীয় করে রাখতেই দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। অটল বিহারি বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ১৯৯৮-তে এই দিনে ‘পোখরান ২’ সিরিজে পাঁচটির মধ্যে একটি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে ভারত।
এই প্রসঙ্গে তাঁর ওয়েবসাইটে মোদি লিখেছেন, “প্রথম বোমাটি পরীক্ষা করার পরই আন্তর্জাতিক মহল ভারতের বিরোধিতায় সরব হয় ও ভারতকে আর কোনও পরমাণু বোমা পরীক্ষা না করার সুপারিশ করে। কোনও দুর্বল প্রধানমন্ত্রী হলে আন্তর্জাতিক মহলের এই তীব্র বিরোধিতার মুখে পিছিয়ে আসতেন। কিন্তু অটলজি ভয় না পেয়ে ১৩ মে ফের পরমাণু বোমা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।”
১৯৭৪-এ ‘স্মাইলিং বুদ্ধা’র পর ভারতীয় সেনা ১৯৯৮-তে পোখরান টেস্ট রেঞ্জে ভারতের দ্বিতীয় পরমাণু বোমাটি পরীক্ষা করে। মোট পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ‘পোখরান ২’ সিরিজে। প্রথমটি ফিউশন বোমা ও পরেরগুলি ফিশন বোমা ছিল। জাপান ও আমেরিকার বিরোধিতার পরোয়া না করে ১১ মে শুরু হয় ‘অপারেশন শক্তি’। একটি ফিউশন ও দু’টি ফিশন বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরের দফায় ১৩ মে আরও দু’টি ফিশন বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ভারতীয় সেনা। এরপরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ভারতকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ বলে ঘোষণা করেন।
The post জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষার সাফল্য উদযাপন মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.