সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য তাঁর নাম ঘোষিত হয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্রে অন্যতম নোবেল-জয়ী হিসাবে। অথচ দশ বছর আগেই মার্কিন বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকোকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শুধু তাই নয়, জোর করে অবসর নিতেও বাধ্য করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ৫৮ বছর।
তবে বিতাড়িত হয়েও আশা বা উদ্যম, কোনওটাই হারাননি ক্যাটালিন। বরং কিছু সময় বিরতি নিয়ে যোগ দেন জার্মান বায়ো-টেকনোলজিক্যাল সংস্থা বায়োএনটেকে। পরবর্তীতে এই বায়োএনটেকই ফাইজার সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গড়ে তুলেছিল এমআরএনএ ভ্যাকসিন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে যা পরে সফল হয়। আর সেই ভ্যাকসিন গড়ে তোলার নেপথ্যে গবেষণার জন্যই নোবেল (Nobel Prize) জিতেছেন ক্যাটালিন। যদিও খবর জানার পর এই মহিলা বিজ্ঞানীর মনে হয়েছিল, কেউ বুঝি মজা করছে তাঁর সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন? ২০২৪ সালের গোড়াতেই বন্দে ভারতে থাকবে স্লিপার কোচ]
কর্মক্ষেত্রে যাই ঘটুক না কেন, ক্যাটালিনের মা অনেক আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন, মেয়ে একদিন নোবেল পাবে। ২০১৮ সালে মারা যান তাঁর মা। ক্যাটালিনের মেয়ে সুসান রোয়িংয়ে দু’বারের অলিম্পিক সোনাজয়ী, পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। উল্লেখ্য, ক্যাটালিন একা নন, তাঁর সঙ্গে করোনা টিকা গবেষণার জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন ড্রিউ উইজম্যানও।