সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি কাঁটায় সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও কানাডা। দিন দিন জোরাল হচ্ছে বিতর্ক। এর মাঝেই কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করল ট্রুডো প্রশাসন।
গত আগস্ট মাসে কানাডার সুরেতে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছিল খলিস্তান সমর্থকরা। লাগানো হয় ভারতবিরোধী পোস্টারও। সেই ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। এই বিষয়ে কানাডা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “গত ১২ আগস্টের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে আপাতত তাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে স্পিকারকে জিভ দেখিয়ে চোখ মারলেন ট্রুডো! ফের বিতর্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ-কলম্বিয়ার সুরে শহরে একটি গুরুদ্বারের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয় কুখ্যাত খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে। হলুদ পতাকাধারীরা খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধানকে খুনের অভিযোগ তোলে ভারতের (India) দিকে। তার পর থেকেই কানাডায় আরও তীব্র হয়ে ওঠে ভারতবিরোধী আন্দোলন। হামলা চালানো হয় সেদেশের একাধিক হিন্দু ধর্মীয়স্থানে। গত ১২ আগস্ট ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সুরেতে অবস্থিত লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের ফটকে লাগানো হয় পোস্টার। যেখানে লেখা ছিল, ‘১৮ জুনের হত্যাকাণ্ডে ইন্ডিয়ার হাত নিয়ে তদন্তে করছে কানাডা।’ সঙ্গে ছিল নিজ্জরের ছবি। আরেকটি পোস্টারে ওটয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের ছবি ও নাম দিয়ে ‘ওয়ান্টেড’ লেখা হয়।
প্রসঙ্গত, খলিস্তানপন্থীদের পাশাপাশি নিজ্জর খুন নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছে কানাডা সরকার। গত মাসে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ আনেন, কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। এর পর থেকে ভারত-কানাডা টানাপোড়েন অব্যাহত। দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়।