বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: হাঁসখালি কাণ্ডে (Hanskhali Rape Case) গ্রেপ্তার আরও ১ জন। ধৃতের নাম প্রভাকর পোদ্দার। সোহেলের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত ছিল ওই যুবক। মৃত নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় ছিল প্রভাকরের, এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার। ওইদিন রাতেই নদিয়ার হাঁসখালির গ্যাড়াপোতা এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বীভৎস অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয় এক কিশোরী। সোহেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। পরিবারের দাবি, জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সোহেল। এক মহিলা আত্মীয়ার সাহায্যে বাড়ি ফেরে কিশোরী। সেই সময় থেকে প্রচণ্ড অসুস্থ ছিল সে। রক্তক্ষরণও হতে থাকে।
[আরও পড়ুন: কাকদ্বীপে বধূকে গণধর্ষণ, পরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা]
ভোরের দিকে কিশোরীর জন্য ওষুধ আনতে যান পরিবারের সদস্যরা। তবে ততক্ষণে সব শেষ। প্রাণ যায় নাবালিকার। তবে সেই সময় কাউকে কিছুই জানাননি নিহতের পরিজনেরা। দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সোহেলের পরিবারের তরফে দেহ দাহ করতে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তড়িঘড়ি দেহ দাহ না করলে প্রাণনাশের এবং বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেয় তারা।
অভিযোগ দায়েরের পরই কিশোরীর ধর্ষণ ও মৃত্যু ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরপাকড়ে তৎপর পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে নির্যাতিতার প্রেমিক। রাতভর টানা জেরার পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। সোহেল নামে ওই যুবকের দুই বন্ধুকেও আটক করেছে পুলিশ। রাতভরও তাদেরও জেরা করা হয়। কে বা কারা সেদিন তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেলের জন্মদিনের পার্টিতে ছিল, পার্টি শেষে কে নির্যাতিতাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিল, সে সমস্ত তথ্যের খোঁজ শুরু রপে পুলিশ। তারপরই গ্রেপ্তার করা হল প্রভাকর পোদ্দারকে। ঘটনায় তার যোগ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার অ্যাডিশ্যানাল পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, “মূল অভিযুক্তের এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”