অর্ণব দাস, বারাসত: হালিশহর (Halishahar) বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিকল্পনামাফিক মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বোমা। এদিকে শুক্রবার সকালে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের দেহ। যদিও সেটি বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃতদের দেহ নয় বলেই খবর।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেলে হালিশহর কোনা কলোনি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায়, গঙ্গার (Ganga) ধারে জগন্নাথ ঘাটের সামনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘাটের সামনে জখম অবস্থায় পড়ে কয়েকজন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। সন্ধেয় মৃত্যু হয় একজনের। খোঁজ মিলছিল না দু’জনের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, গঙ্গার পাড়ে মজুত থাকা বোমা আচমকা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার বেতনও বন্ধ হবে’, কলকাতা পুরসভার পেনশন বন্ধ নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের]
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় সিআইডি, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও বম্ব স্কোয়াড। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয় গঙ্গায়। এরপরই উদ্ধার হয় একটি দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, দেহটি নিখোঁজ রোহিত চৌধুরীর। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, দেহটি তাঁর নয়।
এদিকে বিস্ফোরণ নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মাটির তলায় মজুত করা ছিল প্রায় ১৭-১৮ টি বোমা। কোনওভাবে ফেটে যায় সেগুলি। কিন্তু সাধারণত আঘাত না লাগলে বোমা ফাটার কথা নয়। সেক্ষেত্রে মজুত করা বোমা সরানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে স্থানীয়দের সঙ্গে। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক গতকাল বলেছিলেন, “বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং আশ্রিত দুষ্কৃতী বিট্টু জয়সওয়ালরা ওখানে বোমা মজুত করে রেখেছিল। সেখানেই এদিন বিস্ফোরণ হয়।” রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বিট্টুকে।