অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: বোমা বাঁধতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের। হাত উড়ল আরও একজনের। মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল এলাকার সোমবার রাতের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কেন বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডোমকলের (Domkol) বঘারপুর রমানা গ্রামে পাটের জমিতে বসে বোমা বাঁধছিল কয়েকজন। আচমকাই সেখানে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক যুবকের। নাম সিরাজুল শেখ (২৭)। তাঁর সঙ্গী নাজমুল শেখের হাত উড়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চলছে চিকিৎসা। সিরাজুলকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনই এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী হিসেবে পরিচিত। সদ্যই দল বদল করেছিলেন। যদিও তৃণমূল যোগের কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: বড় হামলার আগে রেইকি করতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ? উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা]
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে তারা। কেন বোমা বাঁধা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ কর্তারা। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বোমাও উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান রানা জানান, “এই দুজনই আগে সিপিএম (CPM) করতেন। বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলে যোগ দেন। সামনে কোনও নির্বাচন নেই, এলাকায় কোনও অশান্তি নেই। তাহলে কেন বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখার আরজি জানাচ্ছি পুলিশকে।” যদিও দু’জনের তৃণমূল কর্মী পরিচয় অস্বীকার করেছেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর সেলিম রেজা। তাঁর কথায়, “শুনেছি, বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখমও হয়েছেন একজন। তবে তাঁরা তৃণমূলের কর্মী ছিলেন না। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”
[আরও পড়ুন: উদ্ধবের সঙ্গে সন্ধির বার্তা? আদিত্য ঠাকরের বিধায়ক পদ বাতিলে পদক্ষেপ করছে না মহারাষ্ট্র সরকার]
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল নেতার বাড়ির উঠোনে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এক তৃণমূল নেতাকে আটক করে পুলিশ। যদিও দলীয় নেতৃত্ব বোমা বাঁধার অভিযোগ অস্বীকার করে।