সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোনওভাবেই পিঁয়াজের দামে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। যে পিঁয়াজ এতদিন বাংলাদেশবাসী পছন্দ করতেন না, বাইরের দেশ থেকে সেসব পিঁয়াজ এনেও লাভ হচ্ছে না। চিন, তুরস্ক ও মিশর থেকেও কেজি প্রতি ১০, ১৫টাকা অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে ঝাঁজহীন পিঁয়াজ। এত চড়া দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় হেঁসেলে পিঁয়াজ কমছে। পাশাপাশি অন্যান্য সবজি, মাছেরও দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর এসময়ে পিঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৪০ টাকা। এবছর তা প্রায় পাঁচগুণ। পরিবার প্রতি পিঁয়াজের যা প্রয়োজন ছিল, তা একধাক্কায় কমিয়ে দিতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই বাধ্য হয়ে পিঁয়াজের স্বাদ পিঁয়াজপাতায় মেটাতে হচ্ছে। তুরস্ক, মিশর থেকে পিঁয়াজ উড়িয়ে এনেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও আশা ছিল, বাইরের পিঁয়াজ এলে হয়ত গাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আসবে। শনি, রবিবার অর্থাৎ উইকএন্ডের বাজার যেন আরও চড়া।
[ আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিচ্ছেন মা, সন্তান কোলে বসে শিক্ষক! নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে ভাইরাল ছবি]
শুধু পিঁয়াজই নয়, বাজার করতে যাওয়া আমজনতা বলছেন, চাল থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সব কিছুরই দাম বেড়েছে অনেকটা। সরু চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। এছাড়া সয়াবিন তেল, আটা, ময়দা, মাংস, মাছ – সবকিছুরই দাম বেড়েছে একধাক্কায় অনেকটা। আবার মূল্যবৃদ্ধির গুজবে নুনেও কালোবাজারি শুরু হয়েছে। যদিও তা রুখতে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজধানী ঢাকায় একরকম বাজারদর। আবার চট্টগ্রাম, রাজশাহি-সহ অন্যান্য শহরগুলিতে পিঁয়াজের দাম আরও আগুন। বিক্রেতারা বলছেন, যে পরিমাণ পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। দেশি পিঁয়াজের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশঙ্কিত তাঁরা। বাংলাদেশের সরকারি বিপণন সংস্থা জানাচ্ছে, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হবে। তা সত্ত্বেও চিন্তা কমছে না আমজনতার।
[ আরও পড়ুন: আবরার হত্যায় কড়া পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, আজীবন বহিষ্কৃত ২৬ পড়ুয়া]
The post বিদেশ থেকে পিঁয়াজ উড়িয়ে এনেও অধরা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, দাম বাড়ছে অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.