সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিঁয়াজের দাম এক ধাক্কায় বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। আগের তুলনায় আলুর দাম চারগুণ বেড়ে গিয়েছে। অন্যান্য সবজির অবস্থাও একই রকম। ভয়াবহ বন্যার পর পাকিস্তানে খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে শুরু করেছে। তার ফলে মূল্যবৃদ্ধি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে সেদেশে। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের অবস্থা বেহাল। ইতিমধ্যেই বন্যায় ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে।
বন্যার আগেই প্রায় ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি। তার পরে বন্যার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেদেশের কৃষিকাজ। তার ফলেই খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে। আগে যার দাম ছিল ৫০ টাকা। চারগুণ বেড়ে প্রতি কেজি আলুর দাম হয়েছে ১০০ টাকা। প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে টমেটোর দাম। তেল বা ঘিয়ের দামও চড়চড়িয়ে বেড়েছে। দুগ্ধজাত পদার্থ এবং আমিষ খাবারের যোগান কমে যাওয়ার ফলে ব্যাপক ভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ধুমধাম করে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপন নর্দান আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়দের]
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানিয়েছিলেন, সবজির দাম এবার নিয়ন্ত্রণে আসবে। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের তরফে পাকিস্তানকে (Pakistan Flood) আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বন্যার ফলে খাদ্য়দ্রব্যের দাম অদূর ভবিষ্যতে কমবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। বন্যার কারণে দেশের কৃষিব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, তাই দেশে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বন্যা কবলিত পাকিস্তানে ত্রাণ পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ, এমন অভিযোগও উঠছে নানা এলাকা থেকে। ত্রাণ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের ধর্ষণ করার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন ঘটনাও জানা গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগামী দু’মাসে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির (Pakistan Inflation) হার ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। দেশের এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও নির্বাচন করাতে প্রবলভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রাজনৈতিক ফায়দার কথা মাথায় রেখে ভারতের সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।