সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার কৃষিমন্ত্রকের সেই পদক্ষেপের খেসারত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। রমজান শেষ হলেও দেশটির বাজারে হু হু করে বাড়ছে হেঁশেলে অত্যাবশ্যকীয় এই সামগ্রীর দাম।
[আরও পড়ুন; শ্রীলঙ্কার পাশে ফের বাংলাদেশ, ২০ কোটি টাকার জীবনদায়ী ওষুধ দিল হাসিনা প্রশাসন]
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। গত মার্চ মাসে এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় ৬ মে থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কৃষিমন্ত্রক। সে নির্দেশিকা মোতাবেক পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩মে ইদের আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আমদানি বন্ধে সংকটের অজুহাতে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। যদিও বাংলাদেশে এবার পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজেরও মজুত রয়েছে। কিন্তু আমদানি বন্ধের মাত্র ছয়দিনের মাথায় সংকট পড়ার কথা না। দাবি, অতিরিক্ত মুনাফা করতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে।
যশোর স্থলসীমান্ত বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন বলেন, “গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়। সে সময় রমজানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আর অনুমোদন না মেলায় আমদানি বন্ধ রয়েছে।” কবে নাগাদ আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে তা জানাতে পারেননি এ ব্যবসায়ী নেতা। এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ চলতি মাসের ৫ মে পর্যন্ত ছিল। এরপর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি চালু হলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশের ব্যারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। সেই অভাব পূরণ করতে আর দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছিল ঢাকা। বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনও ভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না।